বিষ্ণুমন্দির গড়তে দাসিয়া গ্রামে কার্তিকের আবির্ভাব। খুশি গ্রামের মানুষরা।
1 min readবিষ্ণুমন্দির গড়তে দাসিয়া গ্রামে কার্তিকের আবির্ভাব। খুশি গ্রামের মানুষরা।
তন্ময় চক্রবর্তী একদিকে যখন করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ ঠিক তখনই কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দাসিয়া গ্রামে একটি বিষ্ণুমন্দির গড়তে হঠাৎ ই কার্তিকের আবির্ভাব। ফলে যারপরনাই খুশি গ্রামবাসীরা।
এই কার্তিক সেই কাত্তিক যার হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ শহরের চিত্র আমূল বদলে যাচ্ছে যত দিন যাচ্ছে। আজ সেই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল স্বয়ং হাজির হয়ে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিলেন তাদের প্রিয় বিষ্ণুমন্দির গড়তে এবার গ্রামবাসীদের সাথে সহযোগিতা করবেন তিনি নিজেও। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ছোট্ট একটি গ্রাম দাসিয়া।
যাকে ঘিরে রয়েছে ছোট্ট একটি নদী শ্রীমতি। আর সেই শ্রী মতি নদীর তীরে গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি বিষ্ণু মন্দির গড়ার। গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায় সম্প্রতি দাসিয়া গ্রামে পুকুর খনন করার সময় একটি সুন্দর বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার হয়। আর সেই মূর্তি কে গ্রামের সাধারণ মানুষরা গ্রামের দুর্গা মন্দিরে অত্যন্ত যত্ন সহকারে রেখে পূজা অর্চনা ও শুরু করে দেয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের ইচ্ছা সেই বিষ্ণুমূর্তি কে কেন্দ্র করে গ্রামে আলাদা করে যদি একটা বিষ্ণু মন্দির করা যায় তাহলে গ্রামের চেহারা আমল বদলে যাবে।
প্রচুর মানুষ আসবে দূর-দূরান্ত থেকে তাদের গ্রামে। হয়তো একদিন হতেও পারে এটা একটা পর্যটন কেন্দ্র স্থল। তাই আর দেরি নয় এবার সকলে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। তাই সকলে মিলে এগিয়ে এসে বিষ্ণু মন্দির কিভাবে করা যায় সে নিয়ে আজ এক প্রস্থ আলোচনা হয়ে গেল। আর সেই বিষ্ণুমন্দির গড়ার কাজে স্বয়ং কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের কারিগর কার্তিক চন্দ্র পাল কে দেখা গেল নিজের আগ্রহে সেই গ্রামে পৌঁছে যেতে এবং গ্রামবাসীদের সাথে মিলে আগামী দিনে কিভাবে এখানে বিষ্ণু মন্দির করা যাবে সে ব্যাপারে আলোচনাও করতে । সাংবাদিকদের সামনে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, করণা আবহের মধ্যে সকলের উচিত নিজেরা সচেতন থাকার পাশাপাশি ঠাকুর দেবতাদের বেশি বেশি করে স্মরণ করা আর পুজো করা। তাহলে হয়তো এই করোনার মতো অদৃশ্য শত্রু কে আমরা দমন করতে পারব। তাই নিজের তাগিদেই তিনি ছুটে এসেছেন গ্রামবাসীদের সাথে মিলেমিশে বিষ্ণুমন্দির গড়ার জন্য কিভাবে কাজ করা যায় সে ব্যাপারে একটা ছক কষতে। গ্রামবাসীরা জানান কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নমূলক কাজের রূপকার যিনি তাঁর হাত ধরেই তারা দাসিয়া গ্রাম এ এবার বিষ্ণুমন্দির গড়বেন।