October 26, 2024

এইট পাস অ্যাম্বুলেন্স চালক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, দিনের-পর-দিন চালাচ্ছিল বেআইনি নার্সিংহোম।

1 min read

এইট পাস অ্যাম্বুলেন্স চালক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, দিনের-পর-দিন চালাচ্ছিল বেআইনি নার্সিংহোম।

পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুরএকসময়ের এইট পাস অ্যাম্বুলেন্স চালক এখন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা এক নার্সিং হোমের মালিক। হ্যাঁ বেশ কয়েক বছর আগে ই গোয়ালপোখরে মোঃ মুক্তার একসময় অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন। কিন্তু এখন সেই এইট পাশঅ্যাম্বুলেন্স চালক নিজেকেস্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানান চিকিৎসা করে চলছেন। এবং গোয়ালপুকুর এ বেআইনিভাবে কয়েক বছর ধরেই রমরমিয়ে একটি নার্সিংহোম চালাচ্ছিলেন। এই তথ্য সামনে আসতেই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে সেই বেআইনি নার্সিংহোমে হানা দিয়ে নার্সিংহোমের অনুমোদন বাতিল করে। তবে নার্সিংহোমে হানা দিতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটের দেখা বেআইনি সেই নার্সিংহোমে মিললো সরকারি হাসপাতালে বেড, বিছানার চাদর, স্যালাইন সবকিছুই সরকারি হাসপাতালের।

শুধু তাই নয় বেআইনি ওই নার্সিংহোম থেকে নানান ধরনের ওষুধ ও উদ্ধার হয়। সব কিছুই যা সরকারি হাসপাতাল থেকে আনা। প্রতিটি ওষুধের স্ট্রিপের গায়ে লিখা রয়েছে নট ফর সেল।প্রশ্ন উঠেছে তবে কি চোরাপথে সরকারি হাসপাতাল থেকেই পাচার করা হচ্ছে সরকারি সমস্ত জিনিস। প্রশ্ন উঠেছে তবে কি বেআইনি নার্সিংহোম গজিয়ে ওঠার পিছনে প্রশাসনের কেউ জড়িত?উল্লেখ্য উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর ২ নম্বর ব্লক চাকুলিয়ায় বহুদিন ধরেই নাকি চলছে বেআইনি নার্সিংহোমের কাজ । গোয়ালপুকুর এল ধন ব্লক হাসপাতাল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নিজের বাড়িতে একটি ঘরে বেশ কয়েক বছর আগে নার্সিংহোম গড়ে তোলেন মোঃ মোক্তার।তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস এইট পাস হলেও তিনি নিজেকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দেন। এবং মোটা টাকার বিনিময় গর্ভপাত ও প্রসবের কারবার চালাতেন বলে খবর পাওয়া যায়।শুক্রবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তিনটি নার্সিংহোমের অনুমোদন বাতিল করলেও এখনো পর্যন্ত কোন এফআইআর করা হয়নি বলে খবর। তবে জানা যায় ওই নার্সিংহোম থেকে সরকারি হাসপাতাল এ ব্যবহৃত লোহার বেড,চাদর, স্যালাইন,, ওষুধ সমস্ত কিছু পাওয়া গেছে। সরকারি হাসপাতালে ব্যবহৃত সমস্ত কিছু কিভাবে ঐ নার্সিং হোমে এলো সেই প্রশ্নই এখন সকলের মুখে মুখে। জানা যায় মোঃ মুক্তার কানকির মজলিস পুরের বাসিন্দা। সেই সময় তিনি লোধন ব্লক হাসপাতলে অ্যাম্বুলেন্সের অস্থায়ী চালকের কাজ করতেন। জানা যায় অ্যাম্বুলেন্স চালকের কাজ করার সময় ই তার সরকারি হাসপাতালের কর্তা কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় হয়।অনেকের অভিযোগ সেই সুবাদেই হয়তো মুক্তার সরকারি হাসপাতালে কিছু কর্তা ব্যক্তিদের সাহায্যে এই নার্সিংহোম চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। জানা যায় এর আগেও 2016 সালে তৎকালীন জেলাশাসক আয়েশা রানি মুক্তার এর সেই নার্সিংহোম কে সিল করে দিয়েছিল।কিন্তু আবারও কিভাবে নার্সিংহোম খুলে গেল তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য গোয়ালপুকুর এ মুক্তারের নার্সিংহোম এর মতই আরো তিন তিনটি নার্সিংহোম চলছে অবৈধ ভাবে।বহুদিন ধরেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নার্সিংহোম গুলো চলার অভিযোগ সামনে এসেছিল। অভিযোগ সামনে আসতেই চাকুলিয়া ও গোয়ালপুকুর ব্লকের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা বিভিন্ন নার্সিংহোমে হানা দেন প্রতিনিয়ত।নার্সিংহোম গুলোতে সিল করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পুলিশ প্রশাসনকে ও জানানো হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার বছর আগেও মামলা হয়েছে জেলে যেতে ও হয়েছে অনেক নার্সিংহোম এর মালিক কে। কিন্তু তবুও দিনের-পর-দিন এভাবেই বহু নার্সিংহোম গুলো বেআইনিভাবে চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *