উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে স্বতস্ফূর্ত লকডাউন

উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে স্বতস্ফূর্ত লকডাউন

তন্ময় চক্রবর্তী  সপ্তাহে দু’দিন লকডাউন ঘোষণা হতেই পুলিশ প্রচারে নেমেছিল। অপ্রয়োজনে বেরোলেই কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ও কড়া ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত থানার পুলিশকে। লকডাউনের সকালে কোথাও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে দেখা গিয়েছে, কোথাও বা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোনোর অভিযোগ পুলিশ আটক করেছে ।

তবে কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বাসিন্দারা লকডাউন সফল করেছেন। দু’এক জায়গায় যে বিধিভঙ্গের ছবি মিলেছে, তা নেহাৎই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।এ ছাড়া জেলা জুড়ে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। বাইরে কেউ বেরোলে গাড়ির কাগজপত্র থেকে শুরু করে পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছে পুলিশ। বাইরে বেরনোর পর্যাপ্ত কারণ না দেখাতে পারলেই পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।

জেলার বিভিন্ন জায়গায় শহরের কয়েকটি জায়গায় চায়ের দোকান, আড্ডার ঠেকের বাইরে সাধারণ মানুষকে তেমন রাস্তায় দেখা যায়নি। জেলায় ওষুধের খোলা থাকলেও সেখানেও ভিড় ছিল না।

হাসপাতাল চত্বরেও লোকজন অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। দোকান বাজার থেকে শুরু আনাজ, মাছ, মাংসের দোকানও এ দিন বন্ধ ছিল।লকডাউনের দ্বিতীয় দিন হরতালের চেহারা নিয়েছিল জেলা জুড়ে। পুলিশ কড়া মেজাজে থাকলেও কারও গায়ে হাত তোলেনি, এমনকি লাঠি থাকলেও ঘা পড়েনি কারও পিঠে।

জেলাজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সংক্রমণ এড়াতেই পুলিশ কারও গায়ে হাত তোলেনি। তবে পুলিশি টহল আছে সর্বত্র।অতীতে এমন সফল লকডাউনের চেহারা দেখা যায়নি কোথাও। এমনকি জেলার বিভিন্ন ব্লক ও শহরেও পুলিশ দাপিয়ে বেরিয়েছে এদিন। ফলে সকাল থেকেই রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে যায়। দোকান বাজার বন্ধ ছিল। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে ঘর ছেড়ে বেরনোর জন্য কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে।