October 26, 2024

কৃষি ভারতবর্ষের উন্নয়নের হাতিয়ার,তাই কৃষিকে কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে জাতীয় করন করা অত্যন্ত জরুরী–বললেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায়

1 min read

কৃষি ভারতবর্ষের উন্নয়নের হাতিয়ার,তাই কৃষিকে কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে জাতীয় করন করা অত্যন্ত জরুরী–বললেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায়

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,(উত্তর দিনাজপুর)২৩জুলাই:কৃষি হচ্ছে ভারতবর্ষের উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। তাই কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবার সময় এসেছে।কারন শিল্প নিশ্চয় থাকবে কিন্তু সারা ভারতবর্ষের ১৩৮কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন জুগিয়ে থাকে আমাদের ভারতবর্ষের কৃষক সমাজ।ভারতবর্ষের ১৫৭ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে তাই কৃষরা যাতে বর্তমানে যে ফসল উৎপাদন করে তার চেয়ে আরো অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা আমাদের করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।কারন ভারতবর্ষের জনসংখ্যা দিন দিন যে হারে বেড়েই চলেছে তাই দেশের কৃষি উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করতে গেলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভারতবর্ষে কৃষির জাতীয়করণ।বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম বালাসের বাড়িতে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যপক সুভাষ চন্দ্র রায় এক সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেন।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন ভারতবর্ষে মোট কৃষি জমির পরিমান ১৫৭ মিলিয়ন হেক্টর।ফসল উৎপাদন আমাদের ভারতবর্ষ বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।আমরা আমাদের দেশের এই জমি থেকেই অতিরিক্ত ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করতে পারলে ফসল উৎপাদনে পৃথিবীর এক নম্বর দেশে পরিণত হতে পারি সহজেই।উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন ভারতবর্ষের উন্নয়নের ভিত্তি কৃষি।আমাদের ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে একমাত্র কৃষি সম্পদ।তাই কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হলে এবং তার সাথে সথে কৃষির জাতীয় করনের ভাবনায় সরকার ভাবিত হলে আখেরে ভারতবর্ষের কৃষকদের একদিকে যেমন জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন সম্ভব তেমনি ভারতবর্ষের কৃষকরা এ দেশের মাটিতে আরো অধিক পরিমাণে সোনার ফসল ফলাতে আগ্রহ প্রকাশ করতে সক্ষম হতে পারে।উদ্ভিদবিজ্ঞানী তথা অধ্যাপক ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায় কৃষি জাতীয়করণ করার ভাবনা তার মাথায় এসেছে কেন তার উত্তরে তিনি বলেন সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে ভারতবর্ষের মত দেশেও খাদ্য সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে।তাই ১৩৮কোটি দেশের মানুষের মধ্যে গ্রাম ভারতে ৬৮ শতাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে থাকে।এদের সবাই কৃষি নির্ভর।তাই এদের শ্বার্থে এদের জীবন জীবিকার শ্বার্থে কৃষির উন্নয়ন অপরিহার্য। ভারত সরকার কৃষি পণ্যের দর বেধে দিলেই শুধু হবেনা।এদের মাধ্যমে উন্নতি কৃষি প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষকদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করার করার সবরকম চেষ্টা করতে হবে।যাতে ভারতের কৃষকরা খাদ্য সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারে।তিনি বলেন সরকার নির্ধারিত কৃষি পণ্যের মূল্য থেকে কৃষকরা আজও বঞ্চিত হচ্ছে।কৃষির জাতীয় করন হলে কৃষি ক্ষেত্রে দালাল রাজ সরে গিয়ে ক্ষুদ্র,মাঝারি চাষীদের রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে।উদ্ভিদ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডঃ সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন এখন কৃষি থেকে আসল মধু খেয়ে নিচ্ছে এক শ্ৰেণীর কৃষি দালাল।যারা সারা দেশে বিরাজ করছে।কিন্তু দেশে কৃষি জাতীয় করন করা হলে কৃষির আসল মধু পাবে তারাই যারা প্রকৃতই কৃষক।এর ফলে কৃষকদের ঋণ গ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যর প্রবনতা কমতে বাধ্য হবে।সুভাষ বাবু বলেন এখন কৃষকদের সঠিক উদ্ভাবনী শক্তির মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়না।কিন্তূ কৃষির জাতীয় করন করা সম্ভব হলে প্ৰকৃত কৃষকদের মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে বলে জানান।তাই অর্থ নীতির বিকাশ ঘটানোর একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে ভারতবর্ষের মত দেশে কৃষির জাতীয় করনের মাধ্যমেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *