October 26, 2024

ডালখোলার আদিবাসী দুস্থ পরিবার থেকে উঠে আসা বিশ্বনাথ জুনিযার মোহন বাগানে খেলার সুযোগ পেয়ে আজ উত্তর বঙ্গের ফুটবল আইকন

1 min read

ডালখোলার আদিবাসী দুস্থ পরিবার থেকে উঠে আসা বিশ্বনাথ জুনিযার মোহন বাগানে খেলার সুযোগ পেয়ে আজ উত্তর বঙ্গের ফুটবল আইকন

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,(উত্তর দিনাজপুর)১৪জুলাই : উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার প্রত্যন্ত গ্রাম জয়রামপুরের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছোট্ট বিশু আজ ফুটবল খেলে শুধু জয়রামপুরকেই জয় করেনি ভারতবর্ষের অধিকাংশ শহরে ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়ে জয় করে বিশু আজ বিশ্বনাথে পরিণত হয়ে উত্তরবঙ্গের ফুটবল আইকন হয়েছে।সোমবার সকালে বিশ্বনাথের সাথে কথা বলে জানা যায় বিশ্বনাথ জানায় উত্তর দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে মালদা ফুটবল লীগ খেলতে গিয়েই আমার জীবনের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছি।মালদায় আমার খেলা দেখে জুনিয়র মোহন বাগানের কোচ শ্রদ্ধেয় বিশ্বনাথ কুন্ডুর চোখে পরে যাই। সেই সময় আমি জীবন বিজ্ঞান নিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতাম।কিন্তু এতবড় সুযোগ হটাৎ করে পেয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিই।কারন আমারতো ধ্যান জ্ঞান পড়াশোনা নয়।

আমার স্বপ্নতো ভালো ফুটবলার হওয়া।আমাকে প্রথমে বিশ্বনাথ কুন্ডু স্যার জুনিয়র মোহনবাগানের হয়ে জলপাইগুড়িতে খেলার সুযোগ করে দেন।এর পর কালিম্পঙ এ খেলার সুযোগ পাই শিলং আর্মির বিরুদ্ধে।বিশ্বনাথ বলে আমার কালিম্পন স্যার বিশ্বনাথ কুন্ডু যতই দেখেন ততই ফুটবল নিয়ে অনুপ্রাণিত করে আমাকে।বলে ফুটবল তুই জীবনে ছারিশ না।তোকে অনেক দূর যেতে হবে।এরপর সেখান থেকে অল ইন্ডিয়া ফুটবল লীগের খেলায় আমাকে পর পর ছত্রিশগড়,রায়পুর,উত্তর প্রদেশ,মধ্যপ্রদেশ সর্বত্রই আমি স্ট্রাইকার হিসাবে খেলি। আমার যোগ্যতার থেকে আমাকে অনেক সন্মান দিয়েছে ফুটবল।মোহনবাগান জুনিয়র দল এর পর ২০১৬-১৭ সালে আমাকে পাটনা,রাজস্থানে খেলায় অংশগ্রহণ করবার জন্য নিয়ে যায়।বিশ্বনাথ জানায় সে মনে মনে স্বপ্ন দেখেছিল গোটা ভারতবর্ষের সমস্ত মাঠে যেন সে দাপিয়ে খেলতে পারে।এই স্বপ্নই তাকে কুরে কুরে খেত সবসময়।বিশ্বনাথ বলে তার সামনে যেন দেবদূত হয়ে দেখা দিয়েছিল মালদায় জুনিয়র মোহন বাগানের কোচ বিশ্বনাথে কুন্ডু।উনিই আমার স্বপ্ন পূরণের কান্ডারি।ফুটবল খেলোয়াড় বিশ্বনাথ হাসদা কথায় কথায় বলে রায়গঞ্জের তথা একসময়কার মাঠ কাঁপানো ফুটবল খেলোয়াড় রায়গঞ্জের অরিজিৎ ঘোষ আমার জীবনের আর এক বড় উৎসাহ দাতা ও সাহায্যকারী।প্রথমে অরিজিৎ স্যার এবং কুন্তল চক্রবর্তীর কাছেই আমার ফুটবল শেখা অনেকদিন ধরে। উনারা দুজনেই আমাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছেন।এমন গুরু না পেলে এইখানে আমি পৌঁছাতে পারতাম না।বিশিষ্ট ফুটবল খেলোয়াড় অরিজিৎ ঘোষ বলেন বিশ্বনাথ হাসদা খুব ভালো গোল দিতে জানে।স্মার দেখা বর্তমানে ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বনাথ সেরা ফুটবলার।তাই উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা বলাই যেতে পারে।বর্তমানে আমি রায়গঞ্জে এসেছি।আমাকে অরিজিৎ ঘোষ একটি ঘর দিয়েছে থাকবার জন্য।গ্রামের বাড়িতে সময় পেলেই চলে যায়।বর্তমানে রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের হয়ে প্রতিনিয়ত খেলে যাচ্ছি।বর্তমানে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সমাজের ক্রীড়া ক্ষেতে ফুটবলার বিশ্বনাথ হাসদা একটি আদর্শ নাম যা থেকে অনেক আদিবাসী ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় অক্সিজেন পেতেই পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *