জামাইকে খুন করার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড হল শ্বশুর,শাশুড়ির
1 min readরোনক কুমার যাদব (বর্তমানের কথা ) ঃ ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জামাইকে খুন করার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড হল শ্বশুর,শাশুড়ি এমনকি তাদের মেয়ে অর্থাৎ মৃতর স্ত্রীরও।জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার জন্য ঘটনার প্রায় চার বছর পর সোমবার এই সাজা ঘোষণা করেন ইসলামপুরের এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শেখ কামালউদ্দিন।
সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই তিনজনের তিনহাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।ঘটনার বিবরণে সরকারি আইনজীবি মহম্মদ কাইসার ইমাম জানান,গত ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট সকালে চোপড়া থানার হাপতিয়া গছ এলাকার চিতল ঘাটা এলাকায় স্বামী মহম্মদ জাবিরের সাথে বিবাদ হওয়ায় ওই গ্রামেই বাপের বাড়িতে চলে যান তার তৃতীয় স্ত্রী আনসারা খাতুন।
স্ত্রীকে নিয়ে আসতে মহম্মদ জাবিদ শ্বশুর বাড়িতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবেরা খাতুনকে পাঠায়।কিন্তু সে তখন আসেনি। আনসারা খাতুন তার স্বামীর নামে মা ও বাবাকে নালিশ জানালে তারা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে জামাই মহম্মদ জাবিরের বাড়ি আসে।এরপর ঘর থেকে টেনে উঠোনে বের করে তারা জামাইকে সেসব দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।ওই ঘটনায় যুক্ত ছিল মহম্মদ জাবিরের তৃতীয় স্ত্রীও।
পরে এলাকার বাসিন্দারা খবর পেয়ে ছুটে এলে তিনজনই পালিয়ে যায়।এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহম্মদ জাবিরকে প্রথমে দলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। ওইদিন গভীররাতে মৃত্যু হয় তার।ঘটনার পর স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী ও তার মা এবং বাবার বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবের খাতুন।অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।এদিন বারো জনের সাক্ষ্য গ্ৰহণ করে অবশেষে তিনজনের সাত বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে আদালত।