‘এবার বাংলা, পারলে সামলা’ বিজেপির স্লোগান এর পালটা স্লোগান তুলে দিয়ে পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই মমতার ডাক ‘টার্গেট লালকেল্লা, দিল্লি চলো’
1 min read‘এবারবাংলা, পারলেসামলা’ বিজেপির স্লোগান এর পালটা স্লোগান তুলে দিয়ে পুরুলিয়ার মাটিতেদাঁড়িয়েই মমতার ডাক ‘টার্গেট লালকেল্লা, দিল্লি চলো’পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই এবার দিল্লি দখলের ডাক দিলেন মমতা।সোমবারই বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে দাঙ্গাবাজদের রুখতে দ্বিমুখী কৌশল নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দাঙ্গা রোখার প্রক্রিয়ায় শামিল করেছেন সাধারণ মানুষকে। ঘোষণা করেছেন পুরস্কার। দিয়েছেন চাকরির প্রতিশ্রুতি। ঠিক তারপরই পুরুলিয়ার জনসভা থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা। জানালেন, “অনেকেই বলছেন ওদের টার্গেট বাংলা। কিন্তু বাংলা বলছে, শুধু নিজেদের জন্য নয়, দেশের জন্যই বলছে, টার্গেট লালকেল্লা। দিল্লি চলো।” বাস্তবিকই দিল্লি দখলের ডাক দিলেন মমতা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন সাংসদ নিয়ে দিল্লি দখলের স্বপ্ন কীভাবে দেখছেন মমতা? আপাতভাবে তা আকাশকুসুম মনে হলেও রাজনৈতিক সমীকরণে কোনওকিছুই অসম্ভব নয়। ত্রিপুরায় বামদুর্গের পতনের পর মমতা জানিয়েছিলেন, রাহুলকে তিনি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কংগ্রেস, তৃণমূল ও অন্যান্য দলগুলি একজোট হয়ে লড়াই করলে পদ্মের আগ্রাসন রুখে দেওয়া যেত।
যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে মমতার এই মডেল দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের দুই কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও। বিজেপিকে রুখতে যেখানে পরস্পরকে সমর্থনের পথে এগিয়েছে সপা ও বসপা। এর মধ্যেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মমতার। ফলে মমতার ভাবনামতো বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনা ফের উজ্জ্বল হয়েছে। এই সম্ভাবনার কথা এর আগেও বহুবার বলেছেন তিনি। কিন্তু কোনওদিন তা বাস্তবের আলো দেখেনি। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে যেভাবে বিজেপির আগ্রাসন দেখা যাচ্ছে, তাতে নড়ে বসেছে বিরোধী শক্তিগুলি। গুজরাট ভোট দেখিয়ে দিয়েছে, বিরোধী ভোট এককাট্টা হলেই বিজেপিকে রোখা সম্ভব। এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতার এই ডাকে সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ উজ্জ্বল হল।
এদিন নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, অনেকেই বাংলাকে টার্গেট করছে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, বাংলা যা পারে, অন্য কেউ তা পারে না। বাংলাই সকলকে পথ দেখায়। এদিন মমতার অভিযোগ, ব্যাংকের টাকা লুট করে তা নির্বাচনের কাজে লাগানো হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত ত্রিপুরা ভোটেরদিকেই নজর তাঁর। মানি পাওয়ারের অভিযোগ তুলেছিলেন সে রাজ্যের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও।
এদিন ত্রিপুরার পরিণতি সামনে রেখেই সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট হওয়ার ডাক দিলেন মমতা। এর আগে গুজরাট নির্বাচনের পরই তিনি বলেছিলেন, নিজের রাজ্য সামলাতে পারে না, আবার বাংলায় চোখ! এদিন একেবারে খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাখলেন তিনি।