ScannerGo_1739037819521 (1)_page-0001

ফের সাংবাদিক হেনস্থা: এবার কোলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায়

নিজস্ব সাংবাদাতা:- সাংবাদিকতা- স্বাধীন ভারতের এক চতুর্থ স্তম্ভ এবং তাদের জন্য আজ বহু নাম,খ্যাতি লাভ করেছে অনেকে তা বলাই বাহুল্য। সে কোনো ব্যক্তি বিশেষ হোক বা কোনো পাবলিশিং হাউসের উঠান হোক এক নগন্য দিক থেকে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত দেখা যাচ্চে সাংবাদিকরা সেই বেক্তি স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছে দিনে দিনে। তারই এক জলজ্যান্ত উদাহরণ হয় থাকলো এইবারের কলকাতা পুস্তক মেলার একটি ঘটনা।গত ৪-থা ফেব্রুয়ারি মান্দাস-এর থেকে প্রকাশ পায় গায়িকা হৈমন্তী শুকলার বই ‘এখনো সারেঙ্গীটা বাজছে’ যেটি প্রকাশ পায় বইমেলা চত্বরের প্রেস কর্নারে। প্রকাশ অনুষ্ঠানের পর যথারীতি ভাবে কিছু সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিদের ও তাদের প্রকাশিত বইয়ের ভিডিও নেয় তারা।

 

 

কিন্তু সেটি যে কপি রইট এর মধ্যে পরে তা হয়তো সেই সময় খেয়াল করেননি কর্ণধার মাননীয় শ্রী সংকল্প চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু পরমুহূতেই তাদের ফেসবুক পেজে দেখা যাচ্ছে যে তারা অন্য একটি বই সৌম্য শংকর বসুর প্রণীত যেখানে পাখিরা গাহে না গান)- এর ভিডিও পোস্ট করেছেন যেটি কপিরাইট এর মধ্যে পড়ে।

 

এখানে এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করার একটিমাত্র কারণ হলো বই প্রকাশের দিনকে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবার পরে কিছু সাংবাদিক কে দেখা যায় বইয়ের ভেতর ও বাহিরে অল্প করে ভিডিও নিচ্ছেন এবং তারপর তাদের বইমেলার স্টলে(স্টাল নং ৩১৪) যাবার পর আরেক সাংবাদিক যখন সেই বই-টির ভিডিও নিতে যায় সে সময় দেখা যায় তাদের কর্ণধার সমেত আরো অনেকে সেটিকে প্রতিবাদ করেন এবং বলেন যে এটি ক্রাইম এবং এটি কপিরাইট এর মধ্যে পড়ে তাই এটি নেওয়া যাবে না।তারা এও যুক্তি দেন যে যারা বইটি ভিডিও করেছেন তারা আমন্ত্রিত এবং তাই তাদের কোন বাধা দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গত একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে আসে যখন রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা ঘটে বা এমন কিছু কাকতালীয় ঘটনা ঘটতেই পারে যার ফলে বহু সাংবাদিকরা সেটি কভার করতে এমনি চলে আসে তবে সেই সময়ও কি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে যে কে আমন্ত্রিত এবং কে আমন্ত্রিত না সেই অনুযায়ী তারা সংবাদমাধ্যমে সেই ঘটনাকে তুলে ধরবে।

যেখানে আজকালকার দিনের মন্দার বাজারে বহু খ্যাতনায়ক নামক লোকজনেরা বলেন যে আমাদের সংবাদ মাধ্যমি একমাত্র উপায়, যার দ্বারা একটি জিনিস প্রচার পাবে সেখানে এমন কথা কিভাবে একটি সংস্থার কর্ণধার বলে তা অত্যন্ত ভাববার বিষয়। তাছাড়াও আমাদের এই বাংলায় বুকে বহু আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে বাংলার মা মাটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আয়োজিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা অন্যতম। একজন সাংবাদিক যখন বইমেলা কে কভার করে তার মানেটা দাঁড়ায় সে সবকিছুই কভার করছে অতএব সেখানে আমন্ত্রিত এবং আমন্ত্রিত না বলে কিছুই হয় না বরং সংস্থার কর্ণধারকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি নিজেকে বলেন দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন এবং তিনি সেই সাংবাদিকের (দাবদাহ সাংবাদিক শ্রী ঋদ্ধি ভট্টাচার্য) থেকে সাংবাদিকতার ব্যাপারে বহু জিনিস বোঝেন কিন্তু সেই সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করলে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং জোর করে মোবাইল নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে যার কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। মূলত কর্ণধার শ্রী সুকল্প চট্টোপাধ্যায়ের মত অনুযায়ী যদি তিনি আমন্ত্রিত বা বিনা আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের ধরে থাকেন তাহলেও বলা যায় তিনি সমস্ত সংবাদ জগতে মানুষদের ফেসবুকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম মারফত আমন্ত্রণ জানান কারণ গত ৩১ শে জানুয়ারি তিনি তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রেস কর্নারে গায়িকা হৈমন্তী শুক্লার বই প্রকাশের অনুষ্ঠানের পোস্টটা সমেত লিখেছেন ” আপনি আমন্ত্রিত”। যেখান থেকে পরিষ্কার যে তিনি সাধারণ মানুষ ছাড়াও যে সমস্ত সংবাদমাধ্যমে কাছে পৌঁছাতে পারছেন না তাদেরকেও সেই বইটি প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বহৃদয় আমন্ত্রণ করতে চাইছেন। তবে এখানেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে আরেকটি বড় প্রশ্ন জেগে উঠেছে যে তবে আন্তর্জাতিক কোন অনুষ্ঠান হলে বিদেশের সংবাদ মাধ্যম এলে তবে কি তাদের ব্যবহার ঠিক একই রকম হবে! এবং ভারতে সংস্কৃতি কি তারা একইভাবে তাদের সামনে তুলে ধরবে?এই অনুষ্ঠানটিতে প্রেস কর্নারের উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ সেন বরাট এবং অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তাদের স্টলে উপস্থিত ছিলেন শ্রী অনির্বান বসু যিনি মূলত সাংবাদিককে প্রাথমিকভাবে হেনস্থা করতে শুরু করেন এবং আঙুল তুলে তার উপরে কথা বলা শুরু করেন ও আশ্রবো ভাষায় কথাও বলেন, বাড়ুইপুর ব্লক মহাবিদ্যালয় অধ্যাপক শ্রী আনন্দময় ভট্টাচার্য সাংবাদিক কে ধাক্কাও দেয় কিন্তু এত কিছুর মধ্যে কর্ণধার শ্রী সুকল্প চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিকভাবে নিশ্চুপ এবং পরে তিনিও তার ব্যবহারের দ্বারা বুঝিয়ে দিলেন আজকের এই একুশ শতকে দাঁড়িয়েও কোন সাংবাদিকই নিরাপদ নয় এবং তারা সাংবাদিকদের নিতান্তই খেলার পুতুল ভাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *