বরুণা অঞ্চলের কৃষকরা মালটা লেবুর চাষ করে কম সময়ে অধিক আর্থিক লাভের দিশা দেখতে পাচ্ছে
1 min readবরুণা অঞ্চলের কৃষকরা মালটা লেবুর চাষ করে কম সময়ে অধিক আর্থিক লাভের দিশা দেখতে পাচ্ছে
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৯ মে: উত্তর দিনাজপুর জেলায় শুধু মাত্র ধান পাট নিয়েই চাষীরা ব্যস্ত থাকছে তা কিন্তূ নয়।জেলার চাষীরা বর্তমানে প্রতিনিয়ত জেলার কৃষি বিজ্ঞানীদের সাথে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে জানতে আগ্রহী ধান পাট ছাড়াও অন্য কোন চাষের মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিক দিক থেকে অধিক লাভ করতে পারে কিনা? উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুণা অঞ্চলের গোয়ালগাও এলাকার কৃষক ফটিক দেবশর্মা বলেন দেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে আমরা কৃষকরাও নুতন নুতন ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি।আমরা গতানুগতিক একই রকমের চাষ থেকে বিরত থেকে বিজ্ঞান ভিত্তিক নুতন কিছু ফসল উৎপাদন করতে চাই।
ফটিক বাবু বলেন জেলার কৃষি আধিকারিকদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন অল্প সময়ের মধ্যে মালটা লেবুর চাষ করে ভালো আর্থিক সাফল্য পাওয়া যেতে পারে। ফটিক দেবশর্মা এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা থেকে মালটা গাছের চারা এনে তার এক বিঘা জমিতে লাগিয়ে দিয়েছেন।একবার লাগিয়ে দিলেই প্রতি বছর ভালো পরিমাণে ফল দেয় ।তবে বছর দুই পর থেকে যে ফসল গাছে ধরে সেটাই আসল মালটা লেবু । মালটা লেবু এবং মৌসুম্বি দেখতে একই রকম হলেও স্বাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায়।মৌসুম্বী টক হলেও মালটা সাধারনত মিষ্টি হয়ে থাকে।।বছরে একবার মালটা ফল দিয়ে থাকে।মালটা চাষের জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজন জৈব সার।
এই জৈব সারের মধ্যে গোমূত্র,বেশন ও গুর দিয়ে সার বানিয়ে মালটা গাছের গোড়ায় দেওয়া হয়।মালটা ফলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মালটা ফলের গায়ে সিকি পয়সার মত একটি দাগ থাকে।ফটিক দেবশর্মা জানান এক একটি মালটা গাছে ২৫ থেকে ৩০ কেজির বেশি ফসল ধরে।ফটিক বাবু বলেন মালটা ফলের বর্তমান বাজার দর এক কেজির দাম ৬০ টাকা।সুতরাং বুঝতেই পারা যায় একবিঘা জমিতে মালটা ফল প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে।ফটিক দেবশর্মা বলেন চাকরির বাজারের যা অবস্থা তাতে কোন বেকার এই মুহূর্তে চাকরি পাওয়া অনেকটাই অসম্ভব।তাই যারা শিক্ষিত বেকার যুবকরা আছেন তাদের সামান্য জমিজমা থাকলেও সেই জমিতে মালটা চাষের ব্যাবস্থা গ্রহণ করুন।এই চাষে খরচ কম লাভের অঙ্ক অনেক বেশি।মালটা রায়গঞ্জ,কালিয়াগঞ্জ শহরের ফলের আড়ত গিয়ে মালটা বিক্রি করতে কোন সমস্যা নেই বলে ফটিক দেবশর্মা জানান।