কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ উৎপাদন বন্ধ না করে পৌর সভা সাধারন ক্ষুদ্র দোকানদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে,অভিযোগ শহরের নাগরিকদের
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ উৎপাদন বন্ধ না করে পৌর সভা সাধারন ক্ষুদ্র দোকানদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে,অভিযোগ শহরের নাগরিকদের
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৩ জুলাই: সরকারি নির্দেশ থাকলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা শহর থেকে ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ অভিযানে এক যাত্রায় পৃথক ফলের মত উদ্যোগ গ্রহণ করায়তা কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ মেনে নিতে পারছে না। তদের বক্তব্য সরকার যখন ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে তখন কি করে শহরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রন এর নিচে ক্যারিব্যগ্ উৎপাদন কি করে সম্ভব? কাদের অঙ্গুলিহেলনে এই সমস্ত ফ্যাক্টরির মালিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিদিন তাদের উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে?সবার আগে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উচিৎ ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা।
ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রোনের ক্যারিব্যগ বন্ধ করলেইতো বাজারে কোন ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ সহজেই আসা বন্ধ হতে পারে। কেনইবা সবার আগে ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন বন্ধ না করে সাধারন ক্ষুদ্র দোকানদারদের উপর চাপ সৃষ্টি করার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে।শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে ক্যারি ব্যাগ বন্ধের চাপ সৃষ্টি করে বাজিমাত করতে চাইবেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা তা কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ মেনে নেবে না। তদের বক্তব্য সরকার যখন ৭৫ মাইক্রোনের নীচে ক্যারিব্যাগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সেখানে ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন বন্ধ করা হচ্ছে না কেন?বুধবার কালিয়াগঞ্জ মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে বাজার করতে আসা সুশীল অধিকারী বলেন আমরা যদি ক্যারি ব্যাগ নিয়ে বাজার করি সেটা যদি আমাদের অপরাধ হতে পারে তাহলে শহরের উপকণ্ঠে যে সমস্ত ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৭৫ মাইক্রোনের নিচে ক্যারিব্যাগ তৈরি হচ্ছে সেটা কেন অপরাধ হবে না? কালিয়াগঞ্জের ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরিতে ৭৫ মাইক্রোনের নিচে ক্যারিব্যগ বন্ধ না করার পেছনে কোন অদৃশ্য কারন আছে কিনা শহরের সাধারন নাগরিকদের মনে একটা বড়সর প্রশ্ন উঠে আসছে বলে জানা যায়।
কালিয়াগঞ্জের পৌর পিতা রাম নিবাস সাহার উদ্যোগে কেন সেই সমস্ত ফ্যাক্টরিতে গিয়ে উৎপাদন বন্ধ না করে শুধু শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করে সহজেই বাজিমাত করতে চাইছেন?এর পেছনে এমন কি রহস্য আছে? যেখানে ক্যারিব্যাগ ফ্যাক্টরির মালিকদের উৎপাদন বন্ধ করতে পৌর সভার অসুবিধা হচ্ছে?এই প্রশ্ন কালিয়াগঞ্জ পৌর নাগরিকদের সামনে বড়সর প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে দু একটি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেখিয়ে দিন তারা সত্যিই ক্যারি ব্যাগ বন্ধের পক্ষে কাজ করতে চায়। তা না করে শুধুমাত্র নিরীহ দোকানদার দের উপর আইন প্রয়োগ করবে অথচ অবৈধভাবে যারা সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে ৭৫ মাইক্রোনের নিচে ক্যারিব্যগ্ উৎপাদন করছে তাদের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে পৌর পিতা রাম নিবাস সাহা ফ্যাক্টরি বন্ধের কোন উদ্যোগ নেবে না তা হতে পারেনা।নাম কে ওয়াস্তে লোক দেখানো সহজেই বাজি মাত করবার রাস্তা নিয়ে তিনি কালিয়াগঞ্জ বাসীকে বোকা বানানোর জন্য যে রাস্তা নিয়েছেন সেই চালাকি কালিয়াগঞ্জের শহরের নাগরিকরা সহজেই ধরে ফেলেছেন বলে শহরের নাগরিকরা জানান।
কালিয়াগঞ্জ শহরের শেঠ কলোনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক্য ব্যক্তি জানালেন বর্তমান কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা সব দিক দিয়েই ব্যর্থ। শুধু ক্যারি ব্যাগ বন্ধের ক্ষেত্রেই নয় পৌর সভার প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের টাকা পেতে এক একজন বেনিফিশিয়ারি চোখের জল নাকের জল এক হয়ে যাচ্ছে বলে বেশ কিছু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের টাকার প্রাপকরা অভিযোগ জানায়। তারা জানায় পৌর সভা থেকে ঘরের মাপযোগ করে দেবার পর ঘরের প্রাপক দুই কিস্তির টাকা পেয়ে যাবার
পর তিন কিস্তির টাকা চাইতে গেলে পৌর সভায় উপ পৌর পিতা ঈশ্বর রজক সেই ব্যক্তিকে বাচ্চা ছেলেদের মত বলে আপনার বাড়ি নিয়ে অভিযোগ আছে।আপনার ঘর রাস্তার মধ্যে চলে এসেছে।তাই নাকি?সেই ব্যক্তি বলেন দুই কিস্তির টাকা তাহলে কি করে পেলাম? তখন কোন অভিযোগ ছিলনা তাই। তার বক্তব্য দুই কিস্তির টাকা দেবার সময় আমার ঘর রাস্তায় এলোনা আর তিন কিস্তির টাকা চাইতে এসে ঘর রাস্তায় চলে এলো? জানুন এই হচ্ছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা।গত দেড় বছর ধরে প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের টাকা বন্ধ করে রাখা হয়ছে।জনগনের প্রশ্ন এরা মানুষদের পরিষেবা দেবে না নিজের ইমারত গড়ে তুলবে সাধারন মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে?