চাপে চর্চায় কার্তিকের সৌজন্যে ফেমাস হয়ে গেল ঘাটুর চায়ের দোকান
1 min readচাপে চর্চায় কার্তিকের সৌজন্যে ফেমাস হয়ে গেল কালিয়াগঞ্জ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ঘাটুর চায়ের দোকান
তনময় চক্রবর্তী, সারাদিনের ব্যাস্ত সময়ের মাঝে একটু যদি চা পে চর্চায় সময় কাটানো যায় বন্ধুদের সঙ্গে তাহলে ক্ষতি কিসের ।এতে একদিকে যেমন মন ভালো থাকে তেমন ই একঘেয়ে ব্যাস্ত সময়ের খানিকটা ক্লান্তি ও দুর করে সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই আমরা সচরচর দেখি সারাদিন যে যেখানেই কাজ করুক না কেন সন্ধ্যার সময় একটু একঘেয়ে ক্লান্তিকে দূর করার জন্য অনেকেই বেছে নেন কোন না কোন চায়ের ঠেক।যেখানে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তার মাধ্যমে অনেক কিছুই যেমন উঠে আসে তেমন ই সারাদিনের মনের খোরাক অনেকটাই মিটে যায় নিমিষের মধ্যে।
এমন ই একটি চায়ের ঠেক এর আজ সন্ধান পাওয়া গেল কালিয়াগঞ্জ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাটুর চায়ের দোকান যেখানে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরদের সাথে চাপে চর্চায় আড্ডা মারতে স্বয়ং প্রাক্তন পৌর পতি তথা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিরোধী দল নেতা কার্তিক চন্দ্র পাল কে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ এর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ঘাটুর চায়ের দোকান ইতিমধ্যে ফেমাস হয়ে গিয়েছে এই চাপে চর্চায়। শুধু কার্তিক বাবুই নয় এই চায়ের দোকানে মাঝেমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেতে ওঠেন চাপে চর্চায়। যা দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন এই চায়ের দোকানে। অনেক সময় এই চায়ের দোকানে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে সব দলের নেতারা একসাথে বসে মাটির ভাঁড়ে চা খেতে খেতে চাপের চর্চায় মেতে ওঠে। দেখলে মনে হবে যেন মনে হচ্ছে এই চায়ের দোকানে মিনি বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল তো একদিন এই দোকানে সন্ধ্যাবেলা চাপে চর্চায় যদি অংশ না নেয় তাহলে তার মন ই ভালো থাকে না ।
তাই রোজ সন্ধায় তিনি তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে চলে আসেন এখানে। কখনো তার সঙ্গে সামিল হয় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বিভাস সাহা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গৌরাঙ্গ দাস, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এবারের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন যিনি সেই গোকুল পাল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গৌতম বিশ্বাস।
তবে এই সমস্ত কাউন্সিলরদের পাশাপাশি কখনো কখনো এসে হাজির হন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কমিশনার পিয়ালী সাহা কখনো বা আবার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কমিশনার বর্ণালী দাস কে।তবে এই চাপে চর্চায় কার্তিক বাবু সঙ্গে যোগ্য সহযোগিতা করতে দেখা যায় বিজেপি নেতা অমিত সাহা এবং পথিক দাস কে।
এই চাপের চর্চায় কখনো আলোচনার বিষয়বস্তু থাকে কিভাবে বিজেপির কাউন্সিলররা পৌরসভায় কোন কোন বিষয়ে কখন কিভাবে আলোচনা করবেন সে ব্যাপারেও অভিভাবকের মতন করে তাদের যেমন বুঝিয়ে দেন বিজেপি নেতা কার্তিক চন্দ্র পাল। তেমন ই এই চা পে চর্চায় শুধু কখনো দেশ কখনো রাজ্য কখন ও দুনিয়া নিয়েও আলোচনা হয় এখানে।
এরই মাঝে ই আবার হাসি ঠাট্টা ও চলে মাটির ভাঁড় হতে নিয়ে মুখে চুমুক দিয়ে তাদের মধ্যে । অনেক সময় দেখা যায় এই ঘাটুর চায়ের দোকান এ কার্তিক পাল এর নেতৃত্বে চাপে চর্চা জমে উঠেছে ঠিক সেই সময় অনেক তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সামনাসামনি হয়ে পড়েন কার্তিক বাবু সামনে ।
তখন বাড়ির সদস্য দের মতন করে তাদের কে হাসি মুখে আপ্যায়ন করতে বলেন না কার্তিক বাবু।আর তাদের বলেন একবার মাটির ভাঁড় এর চা খেয়ে যাও দেখবে বারে বারে আসবে এখানে ।ফলে তখন কার্তিক বাবু অনুরোধে মাটির ভাঁড়ে 1 কাপ চা খেতে খেতে একটু গল্পগুজব করে নেন খোশ মেজাজে সেই নেতাও। তাদের বক্তব্য রাজনীতি রাজনীতির সময়ে হবে এখন রাজনীতি নয়।এখন আমাদের বন্ধু কার্তিক এর সাথে দেখা হয়েছে তাই গল্প করছি। তাই কালিয়াগঞ্জ এর তাবড় তাবড় অনেক তৃণমূল নেতা দের কেউ দেখা যায় এখানে এসে কাত্তিক বাবুর সঙ্গে অনেক সময় চা খেতে। ফলে চা পে চর্চা রীতিমতো জমে যায় তখন । তবে যাই হোক না কেন কালিয়াগঞ্জ এর মধ্যে ঘাটুর দোকান যে ইতিমধ্যে ফেমাস হয়ে গিয়েছে কার্তিকের সৌজন্যে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে।