মহেন্দ্রগঞ্জে সুনীল নট্যর উদ্যোগে চড়ক উৎসব,কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় চড়ক উৎসব দেখতে ছুটে যান বিজেপি নেতা উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বিভাস সাহা।
1 min readমহেন্দ্রগঞ্জে সুনীল নট্যর উদ্যোগে চড়ক উৎসব, চড়ক উৎসব দেখতে ছুটে যান বিজেপি নেতা উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বিভাস সাহা।
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৪ এপ্রিল:প্রতি বছরের মতই মাঝখানে দুটি বছর করোনা র কারনে তেমনটা না হলেও এবছর সংক্রান্তি উপলক্ষে মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় চড়ক উৎসবের প্রস্তুতি।অবশেষে সন্ধ্যার পর চড়ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় প্রচুর মানুষের উপস্থিতিতে।
গাজন সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শি লাগিয়ে যখন ঘুরাতে থাকে তখন অবাক হয়ে সেই দৃশ্য দেখবার জন্য এলাকার মানুষজন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে সেই মূহূর্তের জন্য। এই উৎসবটি উপলক্ষে নাট মন্দির প্রাঙ্গণ মানুষে মানুষে ছয়লাপ হয় চড়ক উৎসব উপভোগ করবার জন্য। প্রতি বছর চৈত্র মাসের প্রথম থেকেই গোটা একমাস চড়ক পূজার ধুম শুরু হয়ে যায়।
চড়ক দলের সাধু সন্ন্যাসীরা একমাস ধরে উপবাস রেখে শিবের গাজন গেয়ে চলে কাঠফাটা চৈত্র মাসের রোদ্দুরে।চড়কের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে লোকসংস্কৃতি।লোক সংস্কৃতিকে এই চড়ক শিল্পীরা শিবের গাজন গানের মাধ্যমে বংশপরম্পরায় ধরে রাখলেও এই শিল্পীরা সরকারের কোনো সহযোগিতা পায়না।
এরা নিজেদের তাগিদের সাথে সাথে সনাতন ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে ধরনের প্রচেষ্টা করে থাকে তার মূল্য সেই অনুপাতে পায়না বলে তারা আক্ষেপ করে থাকে।এই গাজনের শিল্পীরা কি পেল আর কি পেলনা তার হিসাব নিকাশ না করেই শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও যেভাবে এই লোকো সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে তা এককথায় অভিনন্দনযোগ্য।এদিকে আজ কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন জায়গায় চড়ক উৎসব দেখতে ছুটে যান বিজেপি নেতা উন্নয়নের কান্ডারী কার্তিক চন্দ্র পাল এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার বিভাস সাহা।