চাকরি দেবার নাম করে প্রতারনা,কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ দায়ের, তদন্তে সি আই ডি –
1 min readচাকরি দেবার নাম করে প্রতারনা,কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল নেতার নামে অভিযোগ দায়ের, তদন্তে সি আই ডি –
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৪এপ্রিল:অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেবার নাম করে আর্থিক অভিযোগে জড়িয়ে পড়লো কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য।জানা যায় এই ঘটনায় পাঁচ জনের নামে কালিয়াগঞ্জ থানায় আর্থিক প্রতারনার অভিযোগ দায়ের করা হয়।এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জের অনেক তৃণমূল নেতা শঙ্কিত বলে জানা যায়।পুলিশ সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যেই সি আই ডি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই গত শনিবার কালিয়াগঞ্জ থানায় এসেই প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে দেয়। সি আই ডির আধিকারিকরা তপন।বাগচীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য প্রবীর সরকারই এই ঘটনার জন্য মূলত দায়ী।তিনিই সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।খবর নিয়ে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও এলাকার রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা তপন বাগচী গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জ থানায় এসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগকারী তপন বাগচী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন ২০১৬ সালে তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রবীর সরকারতার প্রয়াত দাদার ছেলে শিব প্রসাদ বাগচীকে শিক্ষকের চাকরি কি ভাবে পাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত জানান।তিনি দায়িত্ব নিয়ে শিবপ্রসাদ বাগচীকে বলেন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেবার ব্যাপারে তার যথেষ্টই হাত আছে।
চাকরি পেতে গেলে দিতে হবে আট লক্ষ্ টাকা।বেকার যুবক শিব প্রসাদ বাগচী এমন লোভনীয় সুযোগ তিনি কোন ভাবেই হাত ছাড়া না করে প্রবীর সরকারের সাথে যারা তার বাড়িতে এসেছিলেন তাদের হাতে ২০১২- ১৪ সালের টেট পরীক্ষার সমস্ত অ্যাডমিট কার্ড শহ সমস্ত প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের নকল সহ প্রথমে দুই লক্ষ টাকা প্রবীর সরকারের সামনেই তাদের হাতে দিয়ে দেয়।বেশ কিছুদিন বাদেযারা শিব প্রসাদকে তারা জানান তার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি হয়ে গেছে। পরবর্তীতে দেখা যায় শিবপ্রসাদের মেলে অ্যাপয়নমেন্ট লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে।কিছুদিন বাদে নিয়োগ পত্রের আসল কপিও তারা পাঠিয়ে দিয়ে অভিযুক্তরা শিবপ্রসাদের কাছ থেকে এসবের বিনিময়ে মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।তপন বাবু বলেন ২০১৬ সালে তার ভাইপো শিব প্রসাদকে একবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের চেয়ারম্যানের দপ্তরে জয়নিং করবার জন্য এবং আর একবার কলকাতার প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে নিয়ে যান।কিন্তু কিছুই হয়নি।তপন বাবু বলেন এসব দেখার পর তাদের সন্দেহ বেড়ে যায়।খোঁজ খবর করলে ব্যাপারটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যায়। জানা যায় এটা, নিছক প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়।তপন বাবু এই প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ভাইপো তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে শুরু করে দেয় টালবাহানা। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে এইটনার সুবিচার চাইবার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন সি আই ডি ত তদন্ত শুরু করেছে।তাদের মত তারা কাজ করবে।কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত সরকারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন প্রবীর সরকার একসম়য় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল করেন না।তাই এর বেশি কিছু বলতে পারবোনা।