উত্তর দিনাজপুর জেলার তিন পৌরসভার ভোট এ তৃণমূলের টার্গেট মহিলা ভোটার
1 min readউত্তর দিনাজপুর জেলার তিন পৌরসভার ভোট এ তৃণমূলের টার্গেট মহিলা ভোটার
তনময় চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর মহিলা ভোটারদের আরো বেশি পাশে পেতে লক্ষী ভান্ডার কন্যাশ্রী রূপসীর মত সফল প্রকল্পগুলিকে ভোট প্রচারে তুলে ধরেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার ইসলামপুর ডালখোলা ও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটারের প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস তাই বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোটব্যাঙ্ক কোন নিজেদের আওতায় রাখতে কোন কমতি রাখছে না। দলের প্রমিলা বাহিনীকে লাগাতার প্রচারে নামিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রী জনমুখি প্রকল্প গুলি তুলে ধরেছে। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে জেলায় দলের জয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল মহিলা ভোট। এবার পুরভোটে ও সেই ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাতে মরিয়া তারা। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতালি দাস এর যুক্তি যেহেতু ৩ পৌরসভার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক মহিলা তাই বেশি সংখ্যায় মহিলা ভোট পেতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। মহিলাদের প্রাধান্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা যা প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন তার মধ্যে অন্যতম লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প।
ওই প্রকল্পটির সাফল্য আমরা যথাসাধ্য ভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমরা শুধু বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয় পথসভা পদযাত্রা সবক্ষেত্রেই তিন পুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের কথা বলছি। ইসলামপুর ডালখোলা কালিয়াগঞ্জ এই তিনটি পৌরসভা এলাকাতেই লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে প্রচার হচ্ছে। জানতেও চাইছি তারা লক্ষীর ভান্ডার সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন নাকি। এতে সকলেই আমাদের সদর্থক উত্তর দিচ্ছেন। প্রচারে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। কারণ দুয়ারের সরকার ক্যাম্প থেকে মহিলারা প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছে যা আমাদের প্রচার এর যথেষ্টভাবে অক্সিজেন যোগাচ্ছে।তিনি বলেন পুর এলাকাগুলিতে অনেক বুথ আছে যেখানে পুরুষের থেকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। এসব নানা দিক বিবেচনা করেই তৃণমূল ভোট প্রচারের ঘুঁটি সাজিয়েছে। মহিলাদের আরও কাছে টানতে তাদের কাছে তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী যাচ্ছে।তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে জনমুখী কার্যকলাপ করেছেন তাতে জেলা স্তরে জনসংযোগের কাজটা আমাদের জন্য অনেকটাই সোজা হয়ে গিয়েছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলা যায়। কারণ আমাদের দল সরকারে থেকে উন্নয়ন করেছে। আমাদের তরফ থেকে শুধুমাত্র সেই কাজগুলিকেই তুলে ধরলেই সিংহভাগ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। জেলায় দলের তরফে পুরভোটের আগে থেকেই দলের মহিলা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের নিয়ে ছোট ছোট দল গঠন করা হয়েছে। ওই দলের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন, দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন। রাজ্যের প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করছেন।