December 24, 2024

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ডবাসীগন ওয়ার্ডের মহিলাকে তৃণমূল প্রার্থীর হেনস্থার যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরি

1 min read

কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ডবাসীগন ওয়ার্ডের মহিলাকে তৃণমূল প্রার্থীর হেনস্থার যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরি

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৬ফেব্রুয়ারি: ভোট আসে ভোট যায়।এটাই সত্য।দুদিনের চৌকিদার হয়ে কেউ কেউ ভাবেন তিনি বোধহয় সারাজীবনের জন্য চৌকিদারের চাকরি পেয়েগেছেন।সেই ব্যক্তি ভাবতেও পারেনা তিনি কতটা ক্ষমতার অধিকারী।ফলে সমাজ সেবার নাম করে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরর জনৈক মহিলার উপর তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটিয়ে নিলেন।যা দীর্ঘদিন ধরেই সেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।তিনি তৃণমূলের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে বলেছিলেন আমি ওকে কংগ্রেস আমলে চেষ্টা করে একটা চাকরি দিয়েছিলাম।

 

এবার ওর চাকরি আমার শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি নেই। হ্যা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি।বললেন জনৈক তৃণমূলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবক।গত আট মাস ধরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দানি গুপ্তার চাকরি খেয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ঈশ্বর রজক।

সেই কারণেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ একজন মহিলার উপর এই অমানবিক অত্যাচারের জবাব দেবার জন্য মুখিয়ে আছেন বলে বেশ কিছু মানুশের সাথে কথা বলে জানা যায়।১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক ব্যক্তি এক প্রশ্নের উত্তরে জানালেন এই ব্যক্তিটির কোন লাজ লজ্জা বলে কোন কিছু নেই।

তিনি বলেন শুনলাম ইস্বর রজক নাকি ১৩ নম্বরের মহিলার চাকরি তিনি খেয়ে তিনি নিজে অবসর গ্রহণের পর আবার কুশমন্ডিতে একটি চাকরি তৈল মর্দন করে জোগাড় করেছেন।এই লোকটির কি কোন লজ্জা বলে কিছু আছে? তিনিবলেন এসব দুই কান কাটা লোকের কোন মান সন্মান নেই।

এরা নিজেদের ভালো খুব বোঝে।তাই এই কয় মাসে পৌর সভায় চৌকিদারের ভূমিকা পালন করে সমাজের ও নিজের নাকি অনেক উপকার করে নিয়েছেন যা এর আগে নাকি এত সমাজ সেবার কাজ করবার সুযোগ পায়নি বলে জানান। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক বয়স্ক ব্যক্তি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন আমাদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর ভোট চাইবে কোন মুখে?যে ব্যক্তি মানুষের উপকারের চেয়ে মানুষের পেটে লাথি মারতে ওস্তাদ।তিনি বলেন ১৩নম্বর ওয়ার্ডের যে ব্যক্তির চোখের জল ফেলিয়ে তিনি অহংকার আত্মহারা হয়েছেন তার চোখের জল বিফলে যাবেনা বলে জানান।

 

ভোটের ফল কি হবে তিনি নিজেও মনে মনে ভেবে নিয়েছেন। পৌর সভার ভোটে ১৩নম্বর ওয়ার্ড থেকে যে কেও জয়ী হোক তাতে কারো আপত্তি নেই কিন্তূ মানুষ মারা সমাজসেবীকে কোন ভাবেই ১৩ নম্বরের মানুষ জয়ী করবেনা বলে জানিয়ে দেন। আমরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় পৌর নির্বাচনে তৃণমূল যেখানেই জয়ী হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই ।কিন্তূ এই ধরনের বেহায়া সমাজ সেবীকে কোন ভাবেই পৌর সভার দরজায় প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা আমরা করছি।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবার পর বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী পদ নিয়ে ব্যাপক দলীয় কোন্দল শুরু হয়ে যায়।অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক নাকি সব কিছু জেনে শুনেও ইস্বর রজক ও বর্তমান পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায়ের মত প্রার্থীদের নাম প্রার্থী পদের জন্য সুপারিশ করেছেন কোন ভিত্তিতে।তা ছাড়া শোনা যাচ্ছে শচিন সিংহ রায় কি ভাবে তার শ্যালিকাকে প্রার্থী করে তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দাঁড়াতে পারে?একই পরিবারে দুইজন প্রার্থী যেখানে হতে পারবেনা সেখানে কি ভাবে শচিন সিংহ রায়ের শ্যালিকাকে প্রার্থী করতে পারে এই নিয়ে চলছে ব্যাপক দলীয় কোন্দল। প্রশ্ন উঠেছে আইপ্যাকের সাথে তলে তলে এরা অন্য কোন ভাবে যোগাযোগ রেখে চলছিল?জানা যায় রবিবার বিকালে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতে পারে।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উন্নয়নের কান্ডারি কার্তিক চন্দ্র পাল এবারের পৌর নির্বাচনে বিজেপির চেয়ারম্যানের মুখ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসরে নামতে চলেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে জানা যায়।অন্যদিকে জাতীয় কংগ্র্রেস এবং বামেরা তারা এবার জোটসঙ্গী না হয়ে আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসরে নামতে চলেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *