কালিয়াগঞ্জ ব্লকের তিনটি অঞ্চলে সাড়ে বারোশো হেক্টর ধানী জমিতে শোষক পোকার আক্রমণে ব্যাপক ধানের ক্ষতি
1 min readকালিয়াগঞ্জ ব্লকের তিনটি অঞ্চলে সাড়ে বারোশো হেক্টর ধানী জমিতে শোষক পোকার আক্রমণে ব্যাপক ধানের ক্ষতি
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৮নভেমবর:কটা দিন বাদেই জমির ধান কেটে বাড়িতে আনবে এসব ভাবনা চিন্তা চলছিল চাষিদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ঘটনা ঘটে গেল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর,মালগাঁও এবং ভান্ডার অঞ্চলের ধান চাষিদের উপর। কালিয়াগঞ্জ ব্লকে এবার বিগত বছরের তুলনায় ব্লকের সর্বত্রই ব্যাপক ধানের ফলন হওয়ায় ব্লকের কৃষকরা স্বাভাবিক ভাবেই প্রচন্ড খুশি।কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ঘটনা ঘটে গেল ব্লকের মুস্তাফানগর,মালগাঁও এবং ভান্ডার অঞ্চলের কৃষকদের কপালে।এই তিনটি অঞ্চলের ১২৫০ হেক্টর জমির ফসল বাদামি শোষক পোকার আক্রমনে সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যাবার ফলে অনেকটা বাড়া ভাতে ছাই ফেলার মত ঘটনা ঘটে গেল।কুনোর এলাকার ধান চাষি নিমাই রায় বলেন
লক্ষী পূজার মধ্যে বৃষ্টি হবার ফলে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তূ হটাৎ করে ধানের জমির এক কোনে ধান গাছ গুলো মাটিতে পড়ে যেতে শুরু করে। সাথে সাথে ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষকে জানালে তিনি খবর পেয়েই ছুটে আসেন।তিনি দেখে বলেন এটি ধানের বাদামি শোষক পোকা।ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষ বলেন শুধু মুস্তাফা নগরেই নয় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও এবং ভান্ডার অঞ্চলের কৃষকদের ধানের জমিতেও একই ভাবে ধানের ক্ষতি হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায়
এবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে ব্যাপক ধানের ফলন হয়।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১২৫০ হেক্টর জমিতে ধানের বাদামি শোষক পোকার আক্রমনের ফলে চাষিদের প্রভুত ক্ষতি হয়েছে।মালগাঁও অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক তাজউদ্দিন আহাম্মেদ বলেন আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।অনেক আশা ।করেছিলাম এবার ভালো ফসল পাবো।কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।ভান্ডার অঞ্চলের কৃষক গণেশ বর্মন বলেন আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই যে ফসল বাড়ি নিয়ে যেতাম তা মাঠেই পরে থাকলো।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা গোপাল ঘোষ জানান তারাও ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে।কালিয়াগঞ্জ ব্লক কৃষি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা কুনোর এলাকায় গিয়ে ।
।কৃষকদের ধানের জমিতে জমির ফসল কি ভাবে বাঁচানো যায় তার চেষ্টা করে চলেছে। যে সমস্ত কৃষকদের জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে তারা ক্ষতিপূরণ হিসাবে কি সাহায্য পেতে পারে
এই প্রশ্নের উত্তরে গোপাল ঘোষ জানান যে সমস্ত কৃষকরা খারিফ শস্য চাষে বাংলা শস্য বীমা করেছে তারা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবে।এবার খারিফ চাষে বাংলা শস্য বীমার আওতায় ,১৮,৫০০ চাষী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।তারা সবাই শস্য বিমার আওতায় থাকায় তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন।কিন্তু যারা সেই আওতায় পড়েনি তাদের জন্য জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে যে ফিল্ড ডেমোনেস্ট্রেশন হয় সেই খানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিনা পয়সায় বীজ ও রাসায়নিক দিয়ে তাদের সাহায্য করা হবে বলে জানান।