কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় কি তালিবানি সরকার চলছে প্রশ্ন জনসাধারণের ? কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় আবাসন যোজনার ঘরের কিস্তির টাকা চাওয়ার অপরাধে চাকরি খোয়ালো পৌর স্বাস্থ্য কর্মী,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন
1 min read
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় কি তালিবানি সরকার চলছে প্রশ্ন জনসাধারণের ? কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় আবাসন যোজনার ঘরের কিস্তির টাকা চাওয়ার অপরাধে চাকরি খোয়ালো পৌর স্বাস্থ্য কর্মী,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন
তনময় চক্রবর্তী :আপনি কি ভাবছেন আপনার কোন সমস্যা নিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় যাবেন অভিযোগ জানাতে ? ভাবছেন হয়তবা সেখানে গেলে আপনার যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে নিমিষের মধ্যে ? রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী যখন বাংলার মানুষের কথা ভেবে একের পর এক নানান ধরনের প্রকল্প চালু করছেন।যখন তৃণমূল সুপ্রিম দলের বুথ স্তর থেকে জেলা স্তরের নেতাদের প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিচ্ছেন মানুষের কাছে গিয়ে ভালো ব্যবহার করে তাদের পরিষেবা ঠিকঠাকভাবে দেওয়ার জন্য। বিগত দিনে কোনো যদি ভুল হয়ে থাকে দলের কোন নেতার তাহলে সেই ভুলের জন্য মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতে। কিন্তু আজ আমরা এমন একটি পৌরসভার কাহিনী তুলে তুলব যা দেখলে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বয়ং চিন্তায় পড়ে যেতে পারে তার দলের এই ধরনের নেতাদের নিয়ে। সেই নেতা হলেন একজন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক শচীন সিংহ রায় অপরজন হলেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক।আজ এই দুই নেতার বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা বিভিন্ন এলাকার মানুষরা। তারা ক্ষমতার দম্ভ এতটাই দেখায় যে ধরাকে সরা জ্ঞান তারা মনে করে না।
অথচ তারা নিজেরাই বলে তারা জনগণের নেতা। সত্যিই যদি জনগণের নেতা হয়ে থাকতো তাহলে আজ অন্তত কালিয়াগঞ্জ বাসীর কাছে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতো। আজ তাই তাদের এই দম্ভে পৌরসভার খোদ তিন প্রশাসক কমল ঘোষ, রাজিব সাহা এবং বসন্ত রায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই নেতাকে বয়কট করার। আর তার ফলস্বরূপ তারা দীর্ঘদিন ধরে যাচ্ছেন না পৌরসভার অফিসে। শুধু তাই নয় এই তিন নেতা এই পৌরসভার প্রশাসক এবং প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক এর বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত আকারে নাকি অভিযোগ দায়ের করেছে। পৌরসভার প্রশাসক শচীন সিংহ রায় এবং প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক কিভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করছে তার একটি চিত্র আমরা বর্তমানের কথার মাধ্যমে তুলে ধরছি সকলের সামনে। যা শুনলে আপনিও হয়তো চমকে যেতে পারেন।
তাই সাবধান এই দুজনের থেকে।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৫ বছরের এক স্বাস্থ্য কর্মী পৌর সভার আবাসন যোজনার ঘরের তৃতীয় কিস্তির টাকা চাইবার অপরাধে পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজকের ব্যক্তিগত আক্রমনের রোষে পরে পূজার আগে চা করি খোয়াতে হল দানি গুপ্তাকে।অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচারের আশায় চিঠি পাঠালেন দানি গুপ্তা। খবর নিয়ে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের পৌর সভার ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্মী দানি গুপ্তার স্বামী গিরিজা গুপ্তার নামে একটি আবাসন যোজনার ঘর অনুমোদন হয়।
গিরিজা গুপ্তার স্ত্রী দানি গুপ্তা বলেন ঘর অনুমোদন হবার পর দুই কিস্তি টাকা পেয়ে লিনটার পর্যন্ত ঘর হয়ে যায়।পরবর্তীতে তৃতীয় কিস্তির টাকা বেশ কিছুদিন ধরে না পাওয়ায় ঘরের কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।সম্প্রতি দানি গুপ্তা পৌর সভায় গিয়ে জানতে পারে তার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা তথা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক তার কিছু অনুগত পাড়ার মানুষদের দিয়ে পৌর সভায় দুইটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন যে গিরিজা গুপ্তা যে ঘরটি করছে তা অনেকটা রাস্তার মধ্যে চলে এসেছে। এই কথা জানতে পেরে দানি গুপ্তা ও তার মেয়ে পিয়া গুপ্তা দুজনেই পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় ও ঈশ্বর রজকের কাছে গিয়ে বলেন তার ঘর যদি রাস্তার মধ্যে যেত তাহলে কি করে দুই কিস্তির টাকা তাদের দেওয়া হয়।কেন ঘরের ভীত করবার সময় এই অভিযোগ জানানো হয়নি?তা ছাড়া একটি ঘরের লিনটার পর্যন্ত হবার পর কি করে অভিযোগকারীরা অভিযোগ।করতে পারে?এই অভিযোগ করা হয়েছে তাকে শুধুমাত্র হ্যারাজ করার জন্য।ঘর প্রাপকের স্ত্রী দানি গুপ্তা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল।নেতা ঈশ্বর রজককে বলেন আপনি আমাদের এলাকার নেতা।
আপনি কোথায় সমস্যার সমাধান করে দেবেন।তা না করে আপনি একজন নেতা হয়ে কি করে পাড়ার একজন দুস্থ্য মানুষদের আরো বিপদে ফেলছেন?এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলে বেশ কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক।ঘটনার পর বাড়িতে এসে জানতে পারে তার ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পরবর্তীতে পৌর সভার স্বাস্থ্য কর্মী দানি গুপ্তা ও তার মেয়ে পিয়া গুপ্তাকে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।যদিও তারা দুজনেই জামিন পেয়ে যায়। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক ও পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক তাতেও দমে যাবার পাত্র নন।পূজার আগে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ বছরের একজন স্বাস্থ্য কর্মী দানি গুপ্তাকে অবৈধ ভাবে তার কাজ বন্ধ করে রেখেছে।পূজার মধ্যে সবাই যে সামান্য পয়সা করি পেত সবাই পেলেও দানি গুপ্তা এসব থেকে বঞ্চিত।
কোন কারন না থাকায় শুধু মাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য তিন মাস ধরে তার কাজ বন্ধ করে রেখেছে।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় এ কোন তালিবানি প্রসাশন চলছে? দানি গুপ্তা এক সাক্ষাৎকারে বলেন তার সাথে কেন ঈশ্বর রজক এই ধরনের আচরণ করছেন।দানি গুপ্তা বলেন আমার দোষ আমি পৌর সভায় গিয়ে ঘরের ব্যাপারে তর্ক করেছি।তার জন্য আমি একটি আবেদনও করেছি।আমার এই ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছি।
এর পরেও পৌর কর্তৃপক্ষ আমার প্ৰতি ঘটনার তিন মাস পরেও কোন সুবিচার করতে পারলেন না? দানি গুপ্তা বলেন আমার প্ৰতি সুবিচার না পাওয়ায় তাই আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ঘরের টাকা চাইতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হল এবং করোনার সহ ১৫ বছর ধরে যে পৌর স্বাস্থ্য কর্মী চাকরি করে আসছি তার চাকরি কোন অপরাধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার সুবিচার চেয়ে আমি চিঠি পাঠালাম।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে ঘরের টাকা কেন পাচ্ছেনা তা জানার জন্য পৌর সভায় গিয়ে গ্রেপ্তার ও চাকরি চলে গেছে পৌর প্রসাশক শচিন সিংহের প্রসাশক থাকার তালিবানি শাসন কালে। দানি গুপ্তা বলেন পূজার আগে এই ভাবে একজন কর্মীর চাকরি বন্ধ করে রেখে যারা মনে করছেন খুব ভালো কাজ করেছেন তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।কারন আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি যাতে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং চাকরি চলে যাবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পাঁচ পৌর প্রসাশক নামকে ওয়াস্তেই আছে।তিনজন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যরা দুই প্রশাষকের কাজ কর্মে ক্ষুব্ধ হওয়ার কারনে পৌর সভায় যাওয়া একরকম বন্ধ করে দিয়েছেন।কালিয়াগঞ্জের পৌর সভার অধিকাংশ মানুষের বক্তব্য অবিলম্বে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার এই তালিবানি পৌর প্রশাসককে তার পদ থেকে সরিয়ে না দিলে আগামী পৌর নির্বাচনে যে এর খারাপ প্রভাব পড়বে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।