ভোটাভুটির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস মালগাঁও বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল-
1 min readভোটাভুটির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস মালগাঁও বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৮,আগস্ট: বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১০নম্বর বিজেপি পরিচালিত মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কলাবতী বর্মনের অপসারণ ঘটালো তৃণমূল কংগ্রেস ভোটাভুটির মাধ্যমে।বুধবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জব্লক প্রসাশনের পক্ষ থেকে দুইজন আধিকারিক তলবি সভার উদ্দ্যোগ নেয় সাহেবঘাটায় অবস্থিত মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে।কড়া পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যে বিদায়ী প্রধান সহ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি শিবিরের সকল সদস্য উপস্থিত হন।ভোটাভুটি শুরু হলে দেখা যায় অনাস্থার পক্ষে ১০টিভোট এবং বিপক্ষে ৯টি ভোট পড়ে।ফলে বিজেপির প্রধান কলাবতী বর্মন পরাজিত হন।জানা যায় ২০১৮সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০নম্বর মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছিল ১৯ আসন বিশিষ্ট গ্রামপঞ্চয়েতের মধ্যে ১০টি আসন পেয়ে।অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস পায়-৭ টি এবং কংগ্রেস পায় ২টি আসন।
সম্প্রতি বিজেপি দল থেকে ১জন নির্বাচিত সদস্য এবং কংগ্রেস থেকে ২জন তৃণমূল দলে যোগ দিলে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা বেড়ে ১০ জন হয়।১০-৯ ভোটে বিজেপি প্রধান পরাজিতের খবর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে
এলে উৎসবে মেতে ওঠে তৃণমূলের সদস্যরা।কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্যের নেতৃত্বে সাহেবঘাটা মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ,কালিয়াগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তপন দেব।সিংহ উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা,
কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার, যুব নেতা রাজু ঘোষ,কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতিগোলাম মোস্তাক প্রধান এবং।কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব বাপ্পাসরকার সহ অনেকেই। কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন ২০১৮ সালে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৮টি,গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি।যদিও কিছুটা সাধারণ মানুষের অভিমানের কারণেই তৃণমূলের এই হার হয়েছিল।এখন গ্রামের মানুষ বুঝতে পেরেছে তৃণমূল ছাড়া সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া খুবই মুশকিল।
তাই ভুল বুঝে যারা তৃণমূলে গিয়েছিল তারা এখন ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে নিতাই বৈশ্য জানান।অন্যদিকে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার যুব মোর্চার সভাপতি গৌতম বিশ্বাস বলেন তৃণমূল নেতৃত্ব এসব সম্পুর্ন মিথ্যা কত বলছে।গ্রামের নির্বাচিত বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতিদিন ভয় দেখানো হচ্ছে।তাই জীবনের শ্বার্থে পরিবারের ম স্বার্থে তৃণমূলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।গণতন্ত্রের নামে এই।পশ্চিমবঙ্গেও তালিবানি জাতীয় গণতন্ত্র তৃণমূল এই রাজ্যে স্থাপন।করতে চলেছে যেখানে বিরোধী দল বলে কোন কিছু থাকবেনা।