৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালনে ফতেপুর “রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশন”।
1 min read৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালনে ফতেপুর “রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশন”।
লোকনাথ সরকার, কালিয়াগঞ্জ, ১৫ আগষ্ট ফতেপুর “রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশন” ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলো নিজ কম্পিউটার সেন্টারে। এদিন সেন্টারে সকাল হতেই শুরু হয়ে যায়, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করার প্রস্তুতি। মিনাপাড়া প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিবুর রহমন মহাশয়ের হাত ধরে পতাকা উত্তোলন করেন। এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্য দিয়ে ৭৫ তম স্বাধীনতাদিবস পালন করা হয়।করোনা কালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায়, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে, এই মহান এবং ঐতিহাসিক দিনে যেতে পারছেন না।
তাই এদিন সকল ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চলে আসেন কম্পিউটার সেন্টারে।এ বিষয়ে রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশনের কর্ণধার ইনজামামুল হক জানান। আমরা যথাযথ মর্যাদার সাথে স্বাধীন ভারতের, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করলাম।কম্পিউটার সেন্টারের শিক্ষা ব্যবস্থার সম্বন্ধে জানতে চাইলে, সেন্টারর কর্ণধার ইনজামামুল হক সেই বিষয়ে জানান। আমাদের “রাজীব গান্ধী যুব কম্পিউটার সাক্ষরতা মিশনের” মূল লক্ষ্য হলো। যাতে গ্রামের বা শহরের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই কম্পিউটার শিক্ষা দিতে পারি।
এবং যাতে সকলেই এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তিনি জানান আমরা এই সেন্টার থেকে দুস্থ এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে, কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান করে থাকি। এবং বাকি সবার জন্য রয়েছে ৬০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা। খুব স্বল্প খরচে যাতে সবাই এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সেই কারনেই আমাদের এই সুযোগ প্রদান করা।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায়। কম্পিউটার শিক্ষা একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো ধরনের কর্মক্ষেত্রে সুযোগসুবিধা পেতে গেলে, বাধ্যতামূলক হিসেবে লাগছে কম্পিউটার শিক্ষার দক্ষতা। সেই কথা ভেবেই এবং সেদিক লক্ষ্য রেখেই, যাতে সকলেই কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করে সব রকম সুযোগসুবিধা পান। যাতে কেউ কর্মক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত না হন। তাই স্বল্প খরচে আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করে তুলতে অগ্রহণীয় ভুমিকা পালন করে চলেছি। আগামী দিনে আমরা আরো অনেক সুযোগসুবিধা দিয়ে এবং খুব স্বল্প খরচে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করবো।সেন্টারের কম্পিউটার শিক্ষক বুদ্ধদেব বর্মন জানান। এখানে আমরা খুব ভালো করে, এবং খুব যত্ন সহকারে বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্লাস করাই। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষাটা ভালো ভাবে পেতে পারে। এবং সিলেবাসের বাইরেও অনেক কিছু করাই, যাতে তারা জানতে পারে। আমাদের ভূমিকা- ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো শিক্ষা দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত করা।কম্পিউটার শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, দীপিকা রায়,য়সাহিদ আনোয়ার, অদিতি রায়, লক্ষী রায় জানান। এই সেন্টার থেকে খুব ভালো শিক্ষা দেয়। খুবি ভালো একটা প্রতিষ্ঠান। আমরা এরকম একটা কম্পিউটার সেন্টার পেয়ে ভীষণ খুশি।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্টারে কর্ণধার ইনজামামুল হক, মিনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিবুর রহমান, অলোক রায়, বিকালু দেবশর্মা, দিপেন্দু রায় সহ সেন্টারের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।