সকালে কাঁচামালের হাটের কারণে চরম দুর্ভোগে পথ চলতি সাধারণ মানুষ।
1 min readসকালে কাঁচামালের হাটের কারণে চরম দুর্ভোগে পথ চলতি সাধারণ মানুষ।
লোকনাথ সরকার, কুশমন্ডি ১১ -ই আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত কুশমন্ডি ব্লক সাধারণত একটি কৃষি প্রাধান্য অঞ্চল। নির্দিধায় বলাই চলে, এই অঞ্চলের মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এবং এই অঞ্চলের মানুষ সোনার ফসল ফলিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। এই অঞ্চলে ধান, গম, পাট ছাড়াও, আরো বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের চাষ হয় প্রচুর। বিশেষ করে কুশমন্ডি ব্লকের অন্তর্গত ১, ৫ ও ৬ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে সব চেয়ে বেশী কাঁচামাল উৎপাদন হয়। এই কাঁচামাল বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রয়োজন বড়ো মার্কেট বা বাজার। এই কাঁচামাল গুলো বিক্রি করতেও কৃষকদের তেমন সমস্যায় পরতে হয় না বলেই মনে করা হয়।কারণ কৃষকদের কাঁচামাল বিক্রির জন্য কুশমন্ডি ব্লকেরেই মধ্যে রয়েছে ২ টি, এবং কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মধ্যে রয়েছে ১ টি বড়ো হাট বা বাজার।
এই ৩ টি হাটেই রোজ সকালবেলা করেই নির্দিষ্ট বার অনুযায়ী হাট বসে। সেই মতোই কৃষকেরা তাদের কাঁচামাল আলু, পটোল, বেগুন, ভাতকোল্লা, ঝিঙে ইত্যাদি হাটে নিয়ে যান। এবং তাদের কাঁচামাল বিক্রি করেন। এই কাঁচামাল দূর দূরান্ত থেকে পাইকার গুলো নিয়ে জান কলকাতা, কালিয়াচক, বিহার ও আরো বিভিন্ন জায়গায়।এই হাট বা বাজারকেই কেন্দ্র করে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পথ চলতি সাধারণ মানুষ, ও যানবাহন গুলোকে। কারণ এই ৩ টি হাটেই হলো রাস্তার উপরে। এই অঞ্চলের সকল কৃষক তাদের কাঁচামাল নিয়ে হাটে আসেন, এবং জায়গা অভাবে কেনাবেচা করতে হয় রাস্তার উপরেই। ফলে প্রচন্ড ভিরের সৃষ্টি হয়, এবং পুরো রাস্তা সাইকেল, গাড়ি, টোটো ও মানুষ জনে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। শুধু কুশমন্ডি ব্লকের অন্তর্গত কৃষকেরাই নয়! উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ৪ ও ৯ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকেরা, এবং ইটাহার ও হরিরামপুর ব্লকের অন্তর্গত কৃষকেরাও এই ৩ টি হাটে কাঁচামাল বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না, পথ চলতি মানুষেরা। এবং কি কোনো কোনো দিন “নিশ্চয় যান” গুলোকেও আটকে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে। এ দেখে “নিশ্চয় যানে” থাকা রুগির পরিজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।বিশেষ করে একি এলাকার মানুষদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কারণ এই ৩ টি হাটেই রয়েছে কালিয়াগঞ্জ-ইটাহার রাজ্য সড়কের উপরে। ঝাপড়াগাছি, ঊষাহরণ ও ফতেপুর এই ৩ টি হাটের মধ্যে ঝাপড়াগাছি ও ঊষাহরণ হাট রয়েছে কুশমন্ডি ব্লকের উপরে। এবং ফতেপুর হাট রয়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের উপরে। রবিবার ও বুধবার হাট বসে ঊষাহরণে। মঙ্গলবার ও শুক্রবার হাট বসে ঝাপড়াগাছি। এবং সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার হাট বসে ফতেপুরে। এই ৩ টি হাটেই রাস্তার উপরে।এ বিষয়ে এক গাড়ি চালক জানান। এই রাস্তায় আমাদের প্রত্যেক দিন হয়রানি হতে হচ্ছে। আমরা এই ইটাহার-কালিয়াগঞ্জ রাজ্য সড়কেই লোকাল গাড়ি চালাই। রোজ আমাদের গাড়ির মধ্যে থাকা যাত্রীদের হয়রানি হতে হচ্ছে। কেও কর্মসূত্রে অফিসে, কেও বা এক বেলা খাবার জোগাতে দিন মুজুরের কাজ করতে যাচ্ছে। এবং স্কুল ও কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের টিউশন পড়তে যাওয়া, সকল যাত্রীদের হয়রানি হতে হচ্ছে। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। এই বিষয়ে যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা, বড়ো একটা হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পাবো।আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা ভবেশ বসাক জানান। হাটের কারণে প্রত্যেক হাটের দিনে এত গ্যাঞ্জাম হয়ে যায়। মানুষ গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে, এখান থেকেই বাড়িতে ঘুরে যেতে হয়। মানুষ যে কাজে যায় সে কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। ফলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পথ চলতি সাধারণ মানুষকে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। সরকার যদি এই ৩ টি হাটের মধ্যবর্তী জায়গা নির্দিষ্ট একটি বাজার বা মার্কেটের ব্যবস্থা করে দেয়। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ ও কৃষকেরা খুবি উপকৃত হবো, খুশি হবো। এবং পথ চলতি মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে।করোনা কালে যেখানে মাক্স গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাক্স। মাক্স ছাড়াই হাটে চলছে কেনাকাটা। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় যেখানে, বার বার সচেতন ও সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। তখনি চোখে পড়লো এরকম এক দৃশ্য! মুখে নেই কারো মাক্স।