রাধিকাপুর এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল, নজর নেই স্থানীয় জেলা পরিষদের মেম্বার থেকে রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর।
1 min readরাধিকাপুর এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল, নজর নেই স্থানীয় জেলা পরিষদের মেম্বার থেকে রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর।
তনময় চক্রবর্তী।।।একটি জায়গার উন্নতি তখনই হতে পারে যখন সেই জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। রাজ্য সরকার বারেবারে বলে গ্রাম বাংলার উন্নয়ন যেটা হয়েছে তা দেখা যাবে আয়নার মতন করে। কিন্তু সত্যি কি বাস্তবে হছে তা গ্রামবাংলায পরিদর্শন করতে গেলেই পরিষ্কার বোঝা যাবে। ভোটের আগে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলা রাস্তাঘাটে আমূল পরিবর্তন হবে বলে ফিতা কাটার ধুম পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কয়েক কিলোমিটার বেহাল কাঁচা রাস্তার অবস্থা দেখে। যা শুধুমাত্র রাস্তা বললে হবে না বর্তমানে রাস্তার হাল এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেটাকে চাষযোগ্য জমি বললেই হয়তো ভালো হবে।
অথচ জেলা পরিষদের মেম্বার কমল সরকার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি এখনো অব্দি সেই রাস্তা পাকা করতে পারেনি। অথচ ভোটের সময় বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্য কমল সরকার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বাররা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা সেই গ্রামে গিয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন এবারের মতো আমাদের ভোট দাও তোমরা সবাই , তাহলে
খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু রাস্তা রাস্তায় থেকে গেছে। যত দিন যাচ্ছে রাস্তা দৃশ্যহীন হয়ে চাষযোগ্য জমি তে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন ভোটের সময় এই রাস্তাদিয়ে শাসক দলের নেতারা এবং জেলা পরিষদের সদস্য কমল সরকার এসে ছিলেন ভোট চাইতে । কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা টি পাকা করা অবিলম্বে দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন বারবার গ্রাম পঞ্চায়েত কে বলেও তাদের এই রাস্তার ব্যাপারে কোনো সুফল হয়নি। আগামী দিনে এরকম চলতে থাকলে তারা এই রাস্তা নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন। এই রাস্তা এমন ই একটি রাস্তা
যে রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে এই রাস্তা। এদিকে এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিপা সরকার কে টেলিফোনে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এই রাস্তাটা ৬০ লাখ টাকা স্কিম করে BADP তে পাঠানো হয়েছে আশা করা যায় বর্ষার পরে এই রাস্তার কাজ শুরু হতে পারে।