লকডাউননে ডালি, কুলো শিল্পীরা চরম সংকটের মধ্যে হাট বাজার না থাকায়
1 min readলকডাউননে ডালি, কুলো শিল্পীরা চরম সংকটের মধ্যে হাট বাজার না থাকায়
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৫ জুন:লকডাউনে কোভিডের বিধি নিষেধ থাকার কারনে ঝুড়ি ডালি কুলো শিল্পীদের জীবন জীবিকায় পেটে টান পড়তে শুরু করেছে বলে জানা যায়। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে জামাই সষ্ঠী অন্যতম উৎসব।এই জামাই বরণ উৎসবকে সামনে রেখে কত আশা নিয়ে ডালি কুলো বানিয়ে রাখলেও বাদ সেজেছে কোভিড। ডালি কুলো বানিয়েই কোন রকমে সংসার চলে আসছিল। কিন্তূ কোভিড গত দুই বছর ধরে চলায় বাঙালির ঘরের উৎসবের সেই ইমেজ আর নেই।কোন রকমে কাজ সারা নিয়ে কথা।তাই এবার ডালি,কুলো শিল্পীরা তাদের তৈরি বাঁশের কুলো,ডালির দাম একদম নেই বললেই চলে।লকডাউনের আগে যে জামাই সষ্ঠীতে ডালি কুলোর দাম ছিল ১৪০-১৫০টাকা।তার দাম লকডাউন আবহে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা থেকে ,৯০ টাকার মধ্যে বর্তমানে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বৈদল গ্রামের মাইনরি বৈশ্য,আরতী,বৈশ্য,বাবলি বৈশ্য বলেন সরকার আমাদের হস্ত শিল্পীদের জন্য সাহায্যের কথা বললেও আমাদের এই হস্ত শিল্পীদের জন্য সরকার আজ পর্যন্ত কোন কাজই করেনি।
হস্ত শিল্পী বাবলি বৈশ্য বলেন আমরা আশা করেছিলাম সমাজে যারা হাতের কাজ করে তাদের জন্য লকডাউনে ছাড় থাকবে।যার জন্য বেশ কিছু ডালি,কুলো বানিয়ে ছিলাম।কিন্তূ আবার লকডাউন বেড়ে যাবার ফলে আমরা যে আশা নিয়ে জিনিসগুলো বানিয়েছিলাম তার সবটাই বিক্রী না হবার কারনে তা বাড়িতেই ফেলে রাখতে হবে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল,কুনোর,হেমতাবাদ ব্লকের কমলাবাড়ি, ইটাহার ব্লকের পতিরাজ হাটে বিক্রি করতে যায় এই হস্ত শিল্পীরা। হস্ত শিল্পী বাবলি বৈশ্য বলেন আমরা আশা করেছিলাম সমাজে যারা হাতের কাজ করে তাদের জন্য লকডাউনে ছাড় থাকবে।যার জন্য বেশ কিছু ডালি,কুলো বানিয়ে ছিলাম।কিন্তূ আবার লকডাউন বেড়ে যাবার ফলে
আমরা যে আশা নিয়ে জিনিসগুলো বানিয়েছিলাম তার সবটাই বিক্রী না হবার কারনে তা বাড়িতে ফেলে রাখ তে হবে কত দিনের মত।।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল,কুনোর,হেমতাবাদ ব্লকের কমলাবাড়ি, সমাসপুর ইটাহার ব্লকের পতিরাজপুর দুর্গাপুর,ইটাহার হাটগুলিতে জামাই সষ্ঠীর আগের হাটে প্রচুর বিক্রি করতাম।দাম বেশ ভালই পেতাম।আক্ষেপের সুরে অনিল বৈশ্য বলেন কিন্তূ এবার আর লকডাউনের কারনে হাটে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।হস্ত শিল্পীদের বক্তব্য তাদের জীবন জীবিকার স্বার্ঘে তাদের এই শিল্পের দিকে সরকার একটু নজর দিলে আমরা এই।শিল্পের মাধ্যমে দুবেলা পেট পুরে খেতে পারতাম।কিন্তূ সরকার থেকে সাহায্যের কথা বলা হলেও জেলা প্রসাশন অথবা ব্লক প্রসাশন কোন গুরুত্ব দেয়না।যেহেতু আমরা অফিসে গিয়ে টেবিল চাপড়ে কথা বলতে পারিনা তাই আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি।আমরাআশা করছি সরকার আমাদের দিকে একটু নজর দিন।