January 11, 2025

আংশিক লকডাউন নিয়ে কিছু ভাবনা, সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন

1 min read

আংশিক লকডাউন নিয়ে কিছু ভাবনা, সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন

প্রভাস সরকার এই আংশিক লকডাউন খুবই – ভাবনার – ভাবনাটা একদিকে মৃত্যুভয় অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ বিধানসাভার দিনমজুর শ্রমিক শ্রেনীর মানুষের কাছে সংসারে বাড়ন্ত রান্নাসামগ্রী,  আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দিশাহীন শিক্ষাব্যবস্থা এই ভাবে এগোচ্ছে আমাদের WBLA-2021পরবর্তীতে,  প্রতিমাসে মিডডে মিলের চাল,  ডাল,  আর কবে স্কুল খুলবে স্যার এক – নিস্পাপ প্রশ্ন,  যাহারা আমরা বাড়িতে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছি তাহাদের সন্তানেরা কিছুটা শিখতেছে,  কিন্তু যাদের বাড়িতে শিক্ষিত অশিক্ষিত যেরকমই অভিভাভবক থাকুন না কেন – উক্ত অভিভাভবক অভিভাবিকা বৃন্দ কোনও কারনে আর্থিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তাহলে তাহাদের বাড়ির সন্তানেরা যে কি অসহনীয় শিক্ষা ব্যাবস্থায় দিন কাটছেন,  একটু চোখ মুখ খুলে তাকালেই বোঝা যাবে।

 আমি কালিয়াগঞ্জ বিধানসাভার জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রার্থী ছিলাম – তারজন্য প্রায় প্রতিটি গ্রামের মানুষের সাথেই কমবেশি পরিচতি হয়েছে।অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা নিজস্বউদ্যোগে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছেন,  এবং নির্বাচনের পুর্বে রাজ্যসরকার ট্যাব এর জন্য ১০০০৯/ দশ হাজার টাকা কেবলমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দিয়েছেন,  বাকি ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার আবেদন সমাজের সকল স্তরের মানুষের রাজ্যসরকার এর কাছে করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।  গরীব,  আধা গরীব,  নিম্নবিত্ত,  নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে – বন্ধন বা বন্ধনের মতন কিছু সংস্থা থেকে নেওয়া ঋনের কিস্তির বিষয়টি।   সরকারি চাকুরির মাসিক বেতনভুক কর্মচারীরা যাই হোক – লকডাউন আংশিক,  লকডাউন কম্পলিট প্রতিটি পার হয়ে যাচ্ছেন,  কিছু ব্যবসায়ী চলে যাচ্ছেন,  বিপদে পড়ে যাচ্ছেন – সমাজবন্ধুরা

– ছোটোবেলায় আমরা পড়েছিলাম – যে সমাজবন্ধুরা – (১) কৃষক (২) ধোপা (৩) নাপিত (৪) শ্রমিক,  এই শ্রমিক মেহনতি মানুষের নামে – প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রায় নেতাই – উচ্চথেকে উচ্চস্বরে – কখনো কখনওবা শুনতে আমাদের ভালোই লাগে – কিন্তু দু:খের বিষয় শ্রমিক মেহনতি মানুষ আজ দিশাহীন,  মুখে ভাষাহীন – হাতে কাজ হীন,  ভাতের থালায় শাকসবজি,  মাছ মাংসের তরকারী বিহীন -,নুন ভাতের থালায় বসে তার বাচ্চাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে নিরুপায় ভাবে তাকিয়ে থাকে তখন – এই আধুনিক সভ্যতা যেন মুচকি হাসে,

  প্রকৃতির কাছে বিজ্ঞান কত অসহায়।  বাচতে আমাদের হবেই,  সামাজিক দুরত্ব কথাটি তখন সত্যিই আমাদের বাংলা ভাষায় সমাজের মধ্যে – বিভিন্নস্তরে দুরত্ব করে দিয়েছেন,   শারিরীক দুরত্ব যখন সামাজিক দুরত্বে পরিনত হয় তখন – সমাজ তো বিভক্ত সকলেই মান্যতা দিয়ে দিয়েছে।  আজ যেন মনে পড়ছে বিজন ভট্টাচার্য মহাশয়ের ‘ অন্নচাই প্রান চাই ” আমার এই লেখায় তথাকথিত করোনা- সচেতন মানুষ ভুল বুঝতে চাইবেন,  আমি আবেদন করছি করোনার বিজ্ঞানসম্মত উপায় মানতে হবে একথা সত্য কিন্তু – সমাজের YAASএর মতন প্রতিটি মুহুর্তেই বহু পরিবারে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ,  এই জন্য চাই সর্ব্বদলীয় প্রয়াস – এবং প্রশাষন এর সহমর্মিতা সহযোগীতা – হে ইশ্বর স্রমিক,  দরিদ্র,  আর্ত নিপীড়িত,  শোষিত বঞ্চিত দের তুমি রক্ষা,করো প্রভু। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *