January 11, 2025

ভোট শেষ হতেই করোনাকে শিখন্ডি করে বিড়ি,সিগারেট ও নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ে কালোবাজারী শুরু কালিয়াগঞ্জে

1 min read

ভোট শেষ হতেই করোনাকে শিখন্ডি করে বিড়ি,সিগারেট ও নেশা জাতীয় দ্রব্য নিয়ে কালোবাজারী শুরু কালিয়াগঞ্জে

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৪,এপ্রিল:উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভোট পর্ব শেষ,শুরু করোনা বৃদ্ধির প্রকোপ।এর মধ্যেই সুযোগ সন্ধানী কিছুকিছু কালো বাজারী ব্যবসায়ী তারা যে অপেক্ষায় ওত পেতে বসেছিল তা সামনে এসেছে।কালিয়াগঞ্জের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদামত জিনিষ মহাজনদের ঘর থেকে পাচ্ছেনা।ছোট ব্যবসায়ীরা মহাজনের ঘরে দোকানের মাল খরিদ করতে গেলে বলেই দিচ্ছে যা মাল দিয়েছি এখন তার অর্ধেক মাল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।কারন মালের আমদানি আগের মত নেই।ফলে ছোট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

মহা সমস্যায় পড়েছে কালিয়াগঞ্জে ব্যবসায়ীরা। কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু ছোট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,যেহেতু ভোটের পর করোনার প্রাদুর্ভাব যথেষ্টই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসাশন বর্তমানে করোনা নিয়েই ব্যাতিব্যাস্ত। সেই কারনে মহাজনেরা এই সুযোগে প্রতিটি নেশার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে এই কয়েকদিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা কালোবাজারি করার একটা পরিকল্পনা নিয়েছে।ছোট ছোট পানের দোকান দারেরা শুক্রবার থেকে আগের চাহিদা মত কোন জিনিস ক্রয় করতে পারছেনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জের একটি দীর্ঘদিনের পান সিগারেটের দোকানের মালিক জানান যেখানে প্রতিদিন তার দোকানে প্রয়োজন দুই হাজার বিড়ি,সেখানে তাকে পাঁচশোর বেশি বিড়ি দেওয়া হচ্ছেনা।কেন প্রয়োজন মত দেবেন না জানতে চাইলে মহাজনের উত্তর পাঁচশো পর্যন্ত এক দাম।এর বেশি নিলেই দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে।আই টি সি সিগারেটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম দশ প্যাকেট পর্যন্ত পূর্বের দাম।এর বেশি দরকার হলে দাম বেশি দিয়ে কিনতে হবে।ছোট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য আমরা দাম বেশি দিয়ে কিনে আমাদের আগের দামেই খরিদ্দারদের বিক্রি করতে হবে।এটা কিভাবে সম্ভব?কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন মহাজনেরা এ ভাবে নিজের ইচ্ছামত জিনিসের দাম ঠিক করতে পারেনা।তা ছাড়া বর্তমান সময়ে কোন ভাবেই এই জিনিস চলতে পারেনা।আমরা ব্যবসায়ী সমিতি কোন ভাবেই এটা হতে দেবনা।অবিলম্বে যদি বড় ব্যবসায়ীরা এসব কালোবাজারি বন্ধ না করে আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *