নয়া ইনিংস শুরু সোনালির নারী দিবসেই, আর নয় কান্না, আর নয় অন্যায়!
বিশ্বনারী দিবস। আর এদিন থেকেই কার্যত নিজের নয়া ইনিংস শুরু করতে চলেছেন সোনালি গুহ। যিনি শুধু বাংলার বিধানসভার প্রথম মহিলা ডেপুটি স্পিকারই নন, বাংলার অগ্নিকন্যার এক সময়কার ছায়াসঙ্গী। আজ এই বিশ্বনারী দিবসে যখন সেই অগ্নিকন্যাই বিজেপি তথা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছেন ঠিক তখনই অগ্নিকন্যাকে নিজের জীবন থেকে কেটেছেঁটে দূরে ফেলে দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সোনালি। নারী দিবসেই তিনি পণ করেছেন আর নয় কান্না, আর নয় অন্যায়, মমতাকে ভাসান দিয়ে হৃদয়ে মোদিকে বসাই। সোনালি অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, তঁকে বিজেপিতে সামিল করলেই হবে। ভোটের টিকিট না পেলেও চলবে। তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে বাংলার বিধানসভার প্রথম মহিলা ডেপুটি স্পিকারকে একদম খালি হাতে ফেরাতে চাইছেন না পদ্মশিবিরের নেতারা। সাতগাছিয়া না হোক কলকাতার আশেপাশের কোনও আসন থেকে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে।
সোনালি দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে চারবারের বিধায়ক। দুই দশক তিনি এই এলাকার জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই সোনালিই গত শুক্রবার যখন দেখলেন তিনি আর টিকিটই পাননি ভোটে লড়াই করার জন্য তখন কার্যত মিডিয়ার ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ভাসিয়েছিলেন। এর পরের দিনই মুকুল রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করেছিলেন সোনালি। নিজে থেকেই যোগ দিতে চেয়েছেন বিজেপিতে। তিনি বিষয়টি দলকে জানিয়েছেন, দল ভেবে দেখছে। সেই ঘটনার কথা পরে স্বীকার করে নেন সোনালিও। সঙ্গে এটাও জানান, তৃণমূলনেত্রী নাকি তাঁকে মুকুলের বিরুদ্ধে সরব হতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তা রাজি না হওয়ার জন্যই সম্ভবত এবার আর তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। সঙ্গে সোনালি এটাও বলেছিলেন, ‘ভগবানের কাছে প্রার্থনা করবো মমতাদি তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন। উনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ভগবান ওনাকে সুবুদ্ধি দিন।’শোনা যাচ্ছে এদিনই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সোনালি। তার জেরে খুশি বিজেপি। খোদ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোনালিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩০ বছরের সঙ্গী। এত বছর একসঙ্গে কাজ করার পর যদি কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন তা হলে দোষ কোথায়? তৃণমূল ভাঙার জন্য মমতা একাই যথেষ্ট।’ যদিও এদিন জানা যায়নি বিজেপি সোনালিকে যদি ভোটপ্রার্থীও করে তাহলে কোথা থেকে টিকিট দেব। শোনা যাচ্ছে এই বিষয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আভাস মিলতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।