ঝাড়ের বাঁশ এমনই হবে, হলদিয়া থেকে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

শনিবার কাঁথিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তুই-তোকারি সম্বোধন করে তাঁকে বলেন, তোর বাপকে গিয়ে বল তোদের বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। কি করবি কর। আয়, আয়, দেখি কত হিম্মত আছে”। গতকালই এই বিষয়টি উল্লেখ করে শুভেন্দু ফেসবুক পোস্ট করে লেখেন, বাংলায় কি সংস্কৃতি চলছে! আর রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হলদিয়ার সভা মঞ্চে আসার আগে সেখান থেকে অভিষেককে নিশানা করলেন শুভেন্দু।তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীকে তুই-তোকারি করেছিলেন। আর কতকাল ওই ঝাড়ের বাঁশ কাঁথিতে এসে কি ভাষায় কথা বলেছেন সবাই শুনেছেন। যেমন ঝাড় তার বাঁশ তেমনই হবে। উল্লেখ্য এখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পাশাপাশি অভিষেককেও তোপ দেগেছেন।

সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমি মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুদের মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। ভোটে জিতে আসার পর ওদের সব কথার জবাব রাজনৈতিক ভাবে দেব। উল্লেখ্য এদিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিষেকের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, যেভাবে শুভেন্দুদা ও তাঁর বাবাকে অপমান করা হয়েছে, সেটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।এদিকে শুভেন্দু নিজের বক্তব্যে বারবার অবিভক্ত মেদিনীপুরের কৃতী মানুষদের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ওড়িশার সঙ্গে লড়াই করে হলদিয়া বন্দর নগরী কেন্দ্রের কাছ থেকে মেদিনীপুরে নিয়ে এসেছিলেন সতীশ সামন্ত। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরো কাজ হতো।

আরো চাকরি হতো। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মানুষের কাজের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। আসলে রাজ্য সরকারের শিল্প এবং জমি নীতি যেভাবে তৈরি হয়েছে, তাতে শিল্প বিস্তার হয়নি। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে অনেক যন্ত্রণার পাশাপাশি এই শিল্প না হওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন নন্দীগ্রাম থেকে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে।

সেখানে কি তবে এবার দাদা ও দিদির লড়াই দেখা যাবে? এই জল্পনা চলছে সর্বত্র। এরপরই দেখা গিয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী হলদি নদীর ওপর সেতু তৈরির কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে এদিন কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে চলেছেন, তাই এখন সেতু তৈরির কথা বলছেন। কিন্তু ওটা জাতীয় জলপথ। প্রধানমন্ত্রী যদি অনুমতি না দেন তাহলে একটি ইট পর্যন্ত সেখানে গাঁথতে পারবেন না কেউ। প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ থেকে এভাবেই এদিন তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *