সভামঞ্চে আত্মবিশ্বাসী মোদি পিঠ চাপড়ালেন রাজীবের, আর সৌমিত্রকে কী বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি?

রবিবার দুপুর সওয়া তিনটের সময় দমদম বিমানবন্দরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। দলীয়ভাবে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, শীলভদ্র দত্ত এবং বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান। তখন প্রধানমন্ত্রী তাঁকে এমন কথা বলেন, যাতে অভিভূত মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এরপর হেলিকপ্টারে হলদিয়া উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী।প্রথমে রাজনৈতিক সভায় অংশ নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন। আর সভা শেষে দেখা যায় কিছুক্ষণ তিনি কথা বললেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এমনকি এও দেখা যায় যে, প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন রাজীবের।

তখন পাশে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁদের দুজনের সঙ্গেই কথা বলেন তিনি। এরপর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার পিঠেও হালকা চাপড় মেরে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে চাইছেন। কিন্তু বিমানবন্দরে সৌমিত্রকে কি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? সেটা নিজেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন সৌমিত্র।তিনি বলেন,” আমি প্রধানমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, মাথা ঝুঁকিও না। সোজা হয়ে দাঁড়াও। জিততে হবে তো!” বলাবাহুল্য এভাবেই বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দিলেন তিনি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী। এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শুভেন্দু এবং রাজীবকে বলেছেন, আমি সব খবর রাখি। ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তখন শুভেন্দু এবং রাজীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁকে। অর্থাত্‍ বাংলা জয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কতটা উদগ্রীব, সেটা পরিষ্কার।সেইসঙ্গে শুভেন্দু এবং রাজীবকে বিজেপি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটাও ফের একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তাই দিনের শেষে এটা পরিষ্কার, মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য রাজ্যে ঝটিকা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া বার্তা দিয়ে গেলেন শাসকদল তৃণমূলকে। সেইসঙ্গে অনেকটাই চাঙ্গা করে দিলেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকদের। সবচেয়ে বড় কথা এদিন প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর রাজ্য সফর শুরু করলেন পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দ্বৈরথ এখন তুঙ্গে। তাই শুভেন্দুর খাসতালুক হলদিয়ায় এসে নরেন্দ্র মোদি তৃণমূলকে এদিন যেভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন জেলার গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *