বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে পথ অবরোধ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের
দেবব্রত মন্ডল , বাঁকুড়া:- বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে পথ অবরোধ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের। সারি ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে কলকাতায় আন্দোলন করতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট সরকারি বাস সময়মতো না পাওয়ায় এই অবরোধ বলে জানাগেছে। বাঁকুড়ার বাঁকুড়া ঝাড়্গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়কের রাইপুর, সিমলাপাল, পিড়রগাড়ী মোড় সহ বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ শুরু করল একাধিক আদিবাসী সংগঠন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি সব নিয়ম মেনে সরকারি বাস বুকিং করার পরও ষড়যন্ত্র করে আদিবাসীদের আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার জন্য সময়মতো যথেষ্ট বাস দেওয়া হয়নি। আদিবাসীদের এই অবরোধের জেরে আজ সকাল থেকে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
বাসের জন্য দেওয়া অগ্রিম টাকা অবিলম্বে ফেরৎ ও নিজেদের দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব।আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ধর্ম সারি ধর্মের সরকারি স্বিকৃতি, জঙ্গলমহলের বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হোস্টেলগুলি পুনরায় চালু, সাঁওতালি মাধ্যমে শিক্ষার উপযুক্ত পরিকাঠামো গঠন সহ বিভিন্ন দাবিতে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাৎ মাঝি পারগানা মহল সহ মোট ১৭ টি আদিবাসী সংগঠন আজ কলকাতার রানী রাসমনি রোডে আন্দোলনের ডাক দেয়। সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আদিবাসীদের। ভারত জাকাৎ মাঝি পারগানা মহলের দাবি এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাঁকুড়া থেকে কয়েক হাজার আদিবাসী মানুষ তৈরী ছিলেন। আন্দোলনকারীদের কলকাতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের তরফে দুই শতাধিক সরকারি বাস বুকিং করে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। সরকারি নিয়ম মেনে বুকিং এর জন্য প্রয়োজনীয় টাকাও জমা করা হয় পরিবহন দফতরে। কথা ছিল গতকাল বিকাল ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে পৌঁছে যাবে বাসগুলি। কিন্তু আদিবাসীদের দাবি নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তে আজ ভোরে হাতে গোনা দশ পনেরোটি বাস নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে পৌঁছায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতায় আন্দোলনে যোগ দিতে পারেনি বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। আদিবাসীদের দাবি বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে কলকাতার আন্দোলনে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এই গন্ডগোল করেছে সএকারি পরিবহন দফতর। স্বাভাবিক ভাবেই আজ সকাল থেকে এলাকার আদিবাসী মানুষরা প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাস্তায় বসে পড়েন।