মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার চান্দলে সভা করতে আসার খবরে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ:৫ফেব্রুয়ারি ভোট বড় বালাই তাই ১১মাস বাদে আবার রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চান্দলে নির্বাচনী জনসভা করতে আসছেন তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেকার গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর সাথে সাথে দুই দিনাজপুর জেলানিয়ে একটি জনসভা করতে।আসার খবর আসতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন নড়ে চড়ে বসেছে।বৃহস্পতি বার খবর আসতেই জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে উত্তর দিনাজুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও গৌতম দাস সহ কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ রাতেই চান্দলে জনসভার স্থান দেখতে চলে যান।পরের দিন শুক্রবার বিকালে পুনরায় উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা,পুলিশ সুপার সুমিত কুমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জশপ্রীত সিংহ,তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল,প্রবীণ তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু দে,জেলা যুব সভাপতি গৌতম পাল, জেলা পরিষদ সদস্য দধি মোহন দেবশর্মা,তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্য,কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ, ইটাহারের এস ডি পি ও রাদেন সিরিং লেপচা, কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি দীপাঞ্জন দাস,কালিয়াগঞ্জ থানার এস আই পিনাকী সরকার বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা হিরন্ময় সরকার।

চান্দলের জনসভা স্থলে গিয়ে খুঁটিনাটি দেখে আসেন তারা।জানা যায় কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক অধ্যাপক প্রমথ নাথ রায়ের মৃত্তুর পর ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে এই প্রথম কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার আসনটি কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের প্রার্থী তপন দেবসিংহ।তপন দেবসিংহ জয়ী হবার পর ২০২০ সালের ৩রা মার্চ কালিয়াগঞ্জের কলেজ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও যেহেতু বিধানসভা ভোট একেবারে দুয়ারে এসে গেছে তাই এবার প্রশাসনিক বৈঠক নয় হবে জনসভা। ২০২১ শের বিধানসভা উপ নির্বাচনের সময় তপন দেবসিংহ যে ৭ টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তার একটিও কার্যকরী না হবার ফলে এবারের বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি আদাজল খেয়ে দাঁতে দাঁত লাগিয়ে বিধান সভা নির্বাচনে মাঠে নেমে পড়েছেন তা তৃণমূল কংগ্রেস বিলক্ষণ বুঝতে পেরে গিয়েছে। তাছাড়া কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার যথেষ্ট কারনের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ শহরে দলীয় কোন্দল অন্যতম কারণ বলেও মনে করছে।সাধারণ মানুষের বক্তব্য তৃণমূলের উন্নয়নের কান্ডারী তথা প্রাক্তন পৌর প্রসাশক কার্তিক পালকে তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জের নেতৃত্ব যে ভাবে দল ছাড়ার ব্যবস্থ্যা করেছে তা কালিয়াগঞ্জের মানুষ ভালো ভাবে নিতে পারছেনা।।তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের নড়বড়ে ব্লককে অক্সিজেন দেবার কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।যদিও তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতৃত্ব মনে করছে কার্তিক পাল দল থেকে চলে গিয়ে তাদের দলের কোন ক্ষতি হয়নি।বরং এই ব্যক্তি চলে যাওয়ার ফলে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল দলে বর্তমানে কোন আর সমস্যা নেই যেটুকু ছিল তা বর্তমানে পরিস্কার হয়ে গেছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চান্দলে মুখ্যমন্ত্রী আসার খবরে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল দলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *