কালিয়াগঞ্জ এর বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিতর্ক।সভাস্থল থেকে বেরিয়েগেল বিজেপি নেতৃত্ব।

তনময় চক্রবর্তী  কালিয়াগঞ্জ এর উন্নয়নে বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের খবর কিন্তু সেখানে উদ্বোধন অনুষ্ঠান টি কে ঘিরে যেভাবে শাসক দল তাদের নিজেদের দলের প্রচার করছে তা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কারণ তারাও নিমন্তন্ন পেয়ে এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।। আর এসে তারা দেখলেন সরকারি মঞ্চে রাজনীতি ভাষণ দিচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এটাতেই তাদের আপত্তি।

এমনটা হবে কেন ?  আজ  কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ স্থল থেকে হঠাৎই বের হয়ে গিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানালেন ভারতীয় জনতা পার্টির শহর মন্ডল এর সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা। তিনি বলেন সরকারি মঞ্চে এইভাবে রাজনৈতিক ভাষণ দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর কখনই উচিত হয়নি তাই ভারতীয় জনতা পার্টির একজন কার্যকর্তা হিসাবে সেই সভাস্থলে তাদের থাকাটা কোনভাবেই শ্রেয় বলে মনে করেন না তাঁরা। তাই তারা সেখান থেকে বেরিয়ে গেছেন। অমিত বাবু বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুধু আমি আমি আমি করেন। কিন্তু তিনি জানেন না তিনি যে প্রকল্প গুলো করছেন সেগুলো সাধারণ মানুষের করের পায়সা। এটা মমতা ব্যানার্জির টালির চালের নিচে টাকা ছাপানোর কোন মেশিন নেই যে সেই মেশিনের টাকা দিয়ে রাজ্যের মানুষের উন্নয়ন হবে। 

 

সাধের মানুষের ট্যাক্সের পয়সা সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কাজে লাগে। এটা প্রত্যেকটা রাজ্যেই হয়। অমিত বাবু বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১০ বছরে উত্তরবঙ্গে এসে কিছু করতে পারেনি। তিনি ভাল করেই জানেন উত্তরবঙ্গে ৫৪ টা সিট আছে। আর এবার উত্তরবঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই ভোটের আগে একটা চমক ধমক দেখিয়ে যাচ্ছে। অমিত বাবু বলেন যে বাস স্ট্যান্ড এর কাজ অনেকদিন আগেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল সেই বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন ভোটের সময় করা হচ্ছে এটা কি স্বার্থে সেটা কিন্তু সকলেই জানে। তিনি বলেন গত এক বছর ধরে সাধারণ মানুষকে শুধু নাজেহাল করল এই সরকার এই বাস স্ট্যান্ড সম্পূর্ণ হয়েও তারা উদ্বোধন করতে পারেনি। আর ভোটের সময় এসে এই বাস স্ট্যান্ড চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর থেকে প্রমাণিত তিনি সাধারণ মানুষের জন্য নয় তিনি ভোটের জন্য রাজনীতি করেন শুধু। তিনি বলেন এখানে তুষ্টিকরণ এর রাজনীতি চলছে। তাই যাদের গুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের শিষ্যরা কতটা শিষ্টাচার শিখবেন। তাই আজকে শিষ্যদের দেখা গেল মঞ্চের উপরে বসে থাকতে আর মঞ্চের নিচে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কে।বসার জায়গা  ও পেলেন না নিচেও তিনি । এর চেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা কিছু হতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *