" সুন্দরীর সুন্দরবন "
1 min readদেবাঞ্জলী চক্রবর্তী,কলকাতা, বর্তমানের কথা : সুন্দরবন বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, ও মেঘনা নদী অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের, চারটি জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের বেশ কিছুটা রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের অন্তর্গত। সুন্দরবন ১৯৯৭ খ্রিস্টান ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য বাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ঐতিহ্যের তালিকায় “সুন্দরবন” ও “সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান ” নামে এই বন সূচিত আছে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদার চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন কিছু দ্বীপমালা। এই অরণ্য জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল।বনভূমিটির নিজস্বী আকর্ষণ সুন্দরী গাছ। স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, হরিণ কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত “সুন্দরবন ” ।
জরিপ মোতাবেক ৫০০ বাঘ এখনো বিরাজমান সুন্দরবন এলাকায়।সুন্দরবনে হাউসবোটে রাত্রি যাপন আপনার ভ্রমনের রোমাঞ্চকতার এক আলাদা মাত্রা সৃষ্টি করে । কযা মাংস সহযোগে মধ্যাহ্ন ভোজন আর বিকেলে নদীর বুকে হাউসবোটে ভাসমান হয়ে মাছ ভাজা অথবা কাঁকড়া কষা সহযোগে চা পান করতে করতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ ভোগ করা। কি জিভে জল এলো তো? দেরী কিসের ঘুরে আসুন। ভাবছেন যাবেন কি করে? কোথায় থাকবেন?
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে ক্যানিং তারপর গাড়ি রিজার্ভ করে/ ম্যাজিক গাড়ি করে গদখালি পোর্ট তারপর হাউসবোট অথবা যোগাযোগ করতে পারেন: 8334977730/ 8910417810