December 27, 2024

পঞ্চায়েত নির্বাচনঃ বিকেল সাড়ে ৪টে রায় দান

1 min read
প্রীতম সাঁতরা : শেষমেশ কি বহাল থাকবে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ? বহাল না থাকলেও সঠিক সময়ে আদৌ কি শুরু হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন? এরকমই বেশ কিছু প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজ্য রাজনীতি থেকে হাইকোর্ট চত্বরে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হয়েছে শুনানি। শেষ পর্যন্ত জল যে দিকে গড়িয়েছে তাতে, মামলার নিষ্পত্তি খুব শীঘ্রই সম্ভব নয় বলেই একাংশের অনুমান। যদিও আজ বিকেল ৪.৩০ টে মামলার রায়দান হওয়ার কথা রয়েছে।এদিনে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির শুরু থেকেই প্রশ্ন বাণে জর্জরিত হতে থাকেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ নির্বাচন কমিশন।
 কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিচারপতির প্রশ্ন, সিঙ্গল বেঞ্চে না গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে কেন? যার জবাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রিট পিটিশন সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারাধীন নয়। যদিও আইনজীবীর এই প্রত্যুত্তরে বিচারপতি সন্তোষ প্রকাশ করেননি বলেই সূত্রের খবর। বিচারপতি বারংবার কল্যাণ বাবুকে সিঙ্গল বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও অটল থাকেন নিজের সিদ্ধান্তে। শাসক দলের আইনজীবী হিসাবে স্বভাবতই তিনি চাইবেন যত শীঘ্র সম্ভব, নিষ্পত্তি হোক মামলার। সেই মত নিজের স্বপক্ষে তুলে ধরতে থাকেন একের পর এক যুক্তি।
 তাঁর মতে সিঙ্গল বেঞ্চে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল বিজেপিকে। পাশাপাশি বিজেপির তরফ থেকে পিটিশন দায়ের করাও বৈধ নয় বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনরকম হস্তক্ষেপ করবে না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চে চলছিল মামলা। কিন্তু এরপরেও ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 
আইনজীবীর মতে, পঞ্চায়েত আইনের ৪৬(২) ধারা উল্লঙ্ঘন করেছে বিরোধী শিবির। যদিও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো যুক্তিই মনঃপুত হয়নি বিচারকের। শুধুমাত্র বিচারকই নন, বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা চলা স্বত্বেও ডিভিশন বেঞ্চে কিভাবে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আইনজীবীর পাশাপাশি অসন্তোষ জমাট বেঁধেছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। কারণ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বর্ধিত দিনে কারা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন সে বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য উত্তর পাওয়া যায়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্ক্রুটিনি শেষে ১৩ হাজার ৫০০ টি এমন আসন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীর মনোনয়ন জমা পড়েনি। এদিকে রাতারাতি কেনই বা ফিরিয়ে নেওয়া হল বর্ধিত সময়ের নির্দেশিকা, সে বিষয়েও মেলেনি সদুত্তর। সব মিলিয়ে বিকেল সাড়ে ৪ টের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য বোঝা দায় আমজনতা থেকে দুঁদে রাজনীতিবিদ প্রত্যেকের। খতিয়ে দেখা হবে বিচারক সুব্রত তালুকদারের সিদ্ধান্তও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..