December 24, 2024

ফতেপুরের নিকট পৌনে দুইশ হেক্টরের ধামজা ফরেস্ট কে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি না করলে ব্যাপক আন্দোলনের পথে এলাকার মানুষজন

1 min read

ফতেপুরের নিকট পৌনে দুইশ হেক্টরের ধামজা ফরেস্ট কে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি না করলে ব্যাপক আন্দোলনের পথে এলাকার মানুষজন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্ ১৪ ডিসেম্বর:উত্তর দিনাজপুর জেলার ধামজা এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য দুই দুটো বিশাল ফরেস্ট আনুমানিক দেড়শ থেকে পৌনে দুইশো হেক্টর জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকলেও এই ফরেস্ট কে নিয়ে কোনরকম চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। যদি সরকারের এই ফরেস্ট কে নিয়ে চিন্তার ভাবনা থাকতো তাহলে এই ফরেস্ট থেকে সরকার অনেক কিছু করে পর্যটনের মানচিত্র একটি জায়গা করে সেখান থেকে ভালো পয়সা আয়ের একটা পথ তৈরি করতে পারত। কিন্তু একজন মাত্র ফরেস্ট গার্ড রেখেই সরকার তার দায়-দায়িত্ব অত্যন্ত অনিহার সাথে পালন করে চলেছে বিগত কয়েক যুগ ধরে। কংগ্রেস নেতা প্রভাস সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন ২০২১ সালে তৎকালীন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জ এসে সোজা ধানজা ফরেস্টে গিয়ে সমস্ত কিছু স্বচক্ষে দেখেন এবং তার দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকরাও তার সাথে ছিলেন। বন আধিকারিকরা সেই সময় বিশাল দুটি ফরেস্ট দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন অবিলম্বে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সেখানে সাধারণ মানুষদের সামনে ঘোষণা করেন।

অথচ ২০২১সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত ঘোষণাতেই রয়ে গেছে। তৎকালীন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন পর্যটন কেন্দ্র করতে যা যা করণীয় অবিলম্বে করতে হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কালিয়াগঞ্জ তথা ফতেপুর এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় পৌনে দুই শ হেক্টর জঙ্গল। যা কোন কাজেই লাগেনা। ফতেপুর এলাকার কংগ্রেস নেতা তথা সমাজসেবী প্রভাস সরকার বলেন অবিলম্বে এক মাসের মধ্যে সরকার থেকে ধামজা ফরেস্ট নিয়ে সরকার কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙজা ফরেস্টের সামনে হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করবে বলে জানান। ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক প্রসূন দাস বলেন এই এলাকার ধামজা এলাকায় যদি একটি সরকার থেকে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা যায় তাহলে এ এলাকার আর্থসামাজিক কাঠামোর অনেক পরিবর্তন সাধন হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রচুর অর্ধশিক্ষিত ছেলেদের। এলাকার উন্নয়ন হবে তরান্বিত। ফতেপুরের কুলেন সরকার বলেন রাজীব ব্যানার্জি মন্ত্রিত্ব থেকে চলে যাওয়ার পরে নিশ্চয়ই অন্য কেউ পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি কেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের ফতেপুর এলাকার উন্নয়নের কথা বা ধামজাকে পর্যটন কেন্দ্রের রূপ দিতে চেষ্টা করছেন না কেন? রাজিব ব্যানার্জি মন্ত্রিত্ব চলে গেলে এলাকার উন্নয়ন বন্ধ থাকবে? এটা কি কোন ঘটনা হতে পারে? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দপ্তর অবিলম্বে যদি ধামজাকে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর না করে তাহলে তারা কালিয়াগঞ্জ এবং ফতেপুর এলাকার মানুষেরা বড় ধরনের বিক্ষবে শামিল হবেন। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জের বন দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যদিও ধান দিয়ে ফরেস্টে গার্ড চৈতু কর্মকার বলেন এখানে একসময় দারুণভাবে ফিস্ট হত কিন্তু দু’বছর থেকে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এখন এই ফরেস্টে কেউ আর আসে না। চৈতু কর্মকার বলেন আমরা ছোটখাটো কাজ করি সরকার যেভাবে চলতে বলে আমরা সেভাবেই চলি আমরা এসব ব্যাপারে কিছু বলতেও পারি না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *