বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী
1 min readবাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী
সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা।তবুও সমস্ত প্রতিকূলতা স্বত্বেও উচ্চ মাধ্যমিকে৯৭ শতাংশ নম্বর।টিনের ঘরে কোনরকমে দিন গুজরান।বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে ঘরে জল পরলেও কষ্টকরে থাকে ভবিষ্যতের জীবন গড়ার আশায়।পীতাম্ব রের এখন একটাই চিন্তা এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেলাম। কিন্তূ স্নাতকোত্তর পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে জোগাড় হবে আমার এটাই বড় দুশ্চিন্তা।
বাবা উত্তম বর্মন পরিযায়ী শ্রমিক নেপালে কাজ করে মা তরুবালা বর্মন পরের জমিতে কাজ করে।তরঙ্গপুর নন্দ কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ইজা বুল হক বলেন পীতাম্বর বর্মন হত দরিদ্র ঘরের ছেলে হলেও পড়াশোনায় প্রথম থেকেই ভালো ছিল।বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে সেও একজন ছিল।বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার রায় বলেন প্রীতাম্বর আমাদের বিদ্যালয়ের গর্বের ছেলে।
পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে পীতাম্বর উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে নবম স্থান পেলেন। আশৈশব চরম আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। টিনের ঘরে কোনওরকমে দিন গুজরান করেই উচ্চ মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য উত্তর দিনাজপুরের নবম স্থান অধিকারী হয়েছেন পীতাম্বর।বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে জল পড়ে ঘরে ৷ বাবা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন নেপালে। সংসার চালাতে মাও দিনমজুরের কাজ করেন।সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। তবুও সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন কালিয়াগঞ্জের পীতাম্বর বর্মন। আগামী দিনে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পীতাম্বরের।সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে কালিয়াগঞ্জ এর পীতাম্বর বর্মন . উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে তরঙ্গপুরের বাসিন্দা পীতাম্বর বর্মনের বাবা উত্তম বর্মন পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা তরুলতা বর্মনও দিনমজুরের কাজ করেন। টিনের ভাঙা ঘরে পড়াশুনা করেই উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে পীতাম্বর। তরঙ্গপুর এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৪৮৮ নম্বর পেয়েছে তিনি।