আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলের খেলোয়ারদের নিয়ে ফিটনেস এ ভিষন ব্যাস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী
1 min read
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে
যাব …
পাহাড় দেখতে পাব…….
কাজ কি গো সহজ হয়!!!
কষ্ট কে মনে কর কষ্ট নয়। হ্যা
বিখ্যাত গানটির সঙ্গে অনেকটাই মিল খুজে পাওয়া
গেল সদ্য উত্তর দিনাজপুর জেলার নবনিযুক্ত জেলা
সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ।সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার
পর এবার পালা আগামী লোকসভা নির্বাচন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নিয়ে ফিটনেসে ভিষন ব্যাস্ত হয়ে পরেছে।একে ওপরকেকে
টেক্কা দিতে নানা রকম রনকৈশল তৈরী করছে। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গে রাজনিতির সমিকরন লোকসভা
নির্বাচনের আগে অবদি কি হবে তা কেউ না বলতে পারলেও এবার যে লোকসভার লড়াই উত্তর দিনাজপুর
জেলায় হাড্ডাহাড্ডি হতে চলছে তা নিয়ে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যে ফেলনা নয় তা বোঝা গেছে।একটা সময় এই জেলায় কংগ্রেস প্রধান শক্তি হলেও এবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপি আইএম যে অনেকটাই ব্যাকফুটে
হয়ে গেছে তা বলা যেতেই পারে।তাই নক আউট পর্যায়ে সবাই আউট হয়ে গেলেও যে দুইটি দল ফাইনাল এবার খেলতে চলেছে তারা হল তৃনমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।আগামী ২০১৯ এর যেকোন সময়
অনুষ্টিত হবে লোকসভা নির্বাচনে তাদের ফাইনাল ম্যাচ। তাই এখন থেকে মাঠে ময়দানে নেমে
পড়েছে দলের খেলোয়াড়রা, প্রচন্ড রোদ কখনো বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একটু ঝারাই বাছাই করে নিলেন সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় তাদের দলের ক্যাপ্টেন
দের। তাতে দেখা গেল বেশ কয়েকটি জেলার তিনি নতুন ক্যাপ্টেন দের হাতে দলের দায়িত্বভার
বুঝিয়ে দিতে। এমন একটি জেলা উত্তর দিনাজপুর। যেখানে বিজেপি দলের নতুন ক্যাপ্টেন হলেন
পোড়খাওয়া রাজনিতিবিদ শঙ্কর চক্রবর্তী।যার জন্ম ১৯৭২ সালের ৩ জুলাই রায়গঞ্জের মহারাজা
হাটে।বাবা স্বগীয় গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী ও মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিছু করা।কারন তৎকালিন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন যে কিভাবে
সিপি আইএম এর অত্যচারে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল।সেই
সময় তার খুব খারাপ লেগেছিল। সেই সব জিনিস তিনি
নিজে চোখে দেখতে পেয়ে তার মনে মনে ইচ্ছা শক্তি
জাগ্রত হতে লাগল যে রাজনিতির ক্ষমতা
ছাড়া মানুষের উপকার ,মানুষের সেবা করা আজকের দিনে
খুবই দুস্কর। এরপর তার মা সন্ধ্যা দেবীর ও বাবা স্বগীয় গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর আশীর্বাদ
নিয়ে নেমে পরেন রাজনিতির ময়দানে।
সাল অবধি ভারতীয় মজুর সংঘের জেলার সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব সামলান।এরপর ২০০১
সাল থেকে ২০০২ সাল অবধি তিনি বিজেপির রায়গঞ্জ নগরমন্ডলের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর
পর ২০০২ সাল থেকে টানা ২০০৯ সাল অবধি বিজেপির জেলা সম্পাদক ও ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল অবধি
বিজেপির জেলার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে থাকেন।
ধাপে নিজের দক্ষতার প্রমান দেওয়ার পর ২০১৫ থেকে আজ অবধি রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য
হিসাবে তিনি আছেন ।এই সব দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তার উপর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব শিলিগুড়ি,
দার্জিলিং আলিপুরদুয়ার ও মালদা জেলার পর্যবেক্ষক এর দায়িত্ব একটা সময় দিয়েছিলেন । প্রতিটি দায়িত্ব তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফলতার সাথে
পালন করেন।মিষ্টিভাষী, মিশুকে এই নেতা কোন দিনও ভাবেন নি যে জেলার সভাপতির দায়িত্ব
তাকে একদিন সামলাতে হবে।কিন্তু আজ সেই দায়িত্ব তার কাধে দেওয়া হল।ইংরাজিতে অনার্স,
এম এ পাশ করার পর আইন নিয়ে পড়াশুনা করেন তিনি।তাই মাঝে মাঝে তাকে রাজনিতির গন্ডির বাইরে
বেড়িয়ে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে দেখা যায় বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার সাওয়াল করতে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
লোকসভা নিবার্চন কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গুটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেণ তিনি ।জেলার
প্রতন্ত এলাকার বিজেপির কর্মিদের আগামীদিনে কি কি করতে হবে সে ব্যাপারে তিনি ইতিমধ্যে
নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন।লোকসভা নির্বাচনের আগে যে সময় তারা পাচ্ছেন তাতে তার বিশ্বাস এবার এই রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে বিজেপি
যে জয়ী হবেই সে ব্যপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
তিনি বলেন সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে বিজেপিকে বিপুল সংখ্যক
মানুষ বিশ্বাস করেছে তাতে বিজেপি খুব কৃতজ্ঞ ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
থাকে তার জন্য ইতিমধ্যে সর্বস্তরের বিজেপি কর্মিরা জেলার প্রত্যন্ত এলাকার গিয়ে
গিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।তিনি বলেন আজ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাধীনতার পর থেকে
উপনিবেশের মতো হয়ে আছে। এখানে না কোন কাজ কর্ম আছে না কোন সুযোগ আছে।না স্বাস্থ্য পরিষেবা
ভালো আছে। তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলাবাসী কোনদিন ও বিজেপিকে লোকসভা ভোটে জিতায় নি। অথচ উত্তর দিনাজপুর
জেলাবাসীকে কেন্দ্রের বিজেপির সরকার অনেক কিছুই দিয়েছে।ব্রডগেজ থেকে জেলার পাশপোর্ট
পরিসেবা সব কিছু পেয়েছে জেলা বাসী। বাংলাদেশের সাথে বহিবানিজ্যের ব্যাপারে রাধিকাপুর
থেকে যাতে হয় তার জন্য বিজেপি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কাজ করছে। শঙ্করবাবু জেলাবাসীর
কাছে আবেদন জানান যাতে আগামী লোকসভা ভোটে মানুষ যাতে বিজেপিকে আরও বেশি ভোট
দেন তাহলে তার আশা বিজেপির নেতৃত্বে আগামীতে
যে সরকার হবে সেই সরকার এখানকার পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা অবশ্যই ঘুচাবে । তিনি বলেন এবারের
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি গ্রামপঞ্চায়েতে ভালো ফল করলেও জেলা পরিষধে ভালো
ফল করতে পারেনি তার কারন হল জেলার শাসক দল
ও সরকারি আমলারা গননার দিন ভোট লুট করেছে জেলা পরিষধের মানুষের রায়। ফলে সঠিক ফলাফল
হয় নি।তিনি বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেলেও কোনদিন দেখা যায় নি যে বোর্ড গঠন হয় ২
মাস পর। তিনি বলেন এর সঠিক কারন হল যে সমস্ত আসন গুলিতে বিজেপিরা জয়ী হয়েছে সেই সমস্ত
আসন গুলিতে জেলার শাসক দল বিজেপির কর্মিদের তাদের দলে নিয়ে আগামীতে যাতে
শাসক দল বোর্ড গঠন করতে পারে।তিনি বলেন এমন ভাবে শাসক দল যদি করতে থাকে তাহলে বিজেপি
আগামীদিনে ছেরে কথা বলবে না।প্রয়োজনে প্রতিরোধে করতে গিয়ে প্রানও দিতে তিনি রাজি।বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন
জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার বিরুদ্ধে খুব শিগ্রহ বড় সর আন্দোলনে নামতে চলেছে জেলা বিজেপি।কারন
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার যে সমস্ত কাজ গুলি হচ্ছে তা সঠিক নিয়মে হচ্ছে না ।
উন্নয়ন হছে জোজো দিয়ে।জোজো কি তার পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে সেটা বিজেপি তাদের অন্দোলননের
মাধ্যেমে মানুষের কাছে খুব শিগ্রহ পর্দা ফাঁস
করবে।শঙ্কর বাবু বলেন ইতিমধ্যে তারা এই পৌরসভার বিরুদ্ধে অনেক দুর্নিতির তথ্য প্রমান
সহ যোগার করে ফেলেছেন।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মানুষের সামনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার মুখোশ
খুলা। তিনি বলেন আগামী ৬০ দিন ধরে বিজেপি সারা জেলার বুথে বুথে দলকে শক্তি শালী করে
তুলতে শাখা সংঘটন গুলিকে সাজিয়ে তুলতে চলছে। তিনি আরো বলেন জেলায় ছয়শো বুথে কোন বিজেপির
কর্মি নেই।তাই এখন সেগুলি ঢেলে সাজানোর জন্য দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন উত্তরবঙ্গের বিজেপির পালক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জেপি নাড্ডার মাধ্যেমে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর কাছে রাধিকাপুর থেকে সকালে একটি ট্রেন
চালু করার ব্যপারে দরবার করার পর কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী একটি সমিক্ষ্যা করার জন্য কঠিহারের
ডি আর এম কে নিদেশ দিলেও কাঠিহারের ডি আর এম আজ ও সেই সমীক্ষা করে পাঠাতে পারেনি।তিনি
বলেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে শাসক তৃনমূল, জেলা কংগ্রেস ও সিপিআইএম এর প্রথম শারির কিছু
নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চলছেন। কারন যারা যোগ দিবেন তারা বর্তমানে তাদের দলের প্রতি
আস্থা রাখতে পারছে না। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যে সমস্ত কর্মি রা বিজেপি তে
আসতে চলছে তাদের সাথে ইতিমধ্যে কথা বার্তা শুরু হয়েছে ।
এখণ দেখার বিষয় উত্তর
দিনাজপুর জেলার বিজেপির ক্যাপ্টেন হূগো লরিস অর্থাৎ শঙ্কর চক্রবর্তী কতটা তার কথার সাথে
কাজের মিল রেখে কিভাবে ফাইনাল ম্যাচে দল
কে জিতাতে পারে সেটা সময়ই বলবে। ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});