উত্তর দিনাজপুর জেলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খনপালা আজ সারা রাজ্যে সমাদৃত
1 min read
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর-এক সময়কার লুপ্তরায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজবংশী সমাজের লোকসংস্কৃতির অন্যতম খনপালা তার দৈন্যদশাকে কাটিয়ে বর্তমানে সারারাজ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সত্তর আশির দশকে রাজবংশি সমাজের এই খনগান বা খনপালার কথা শুনলে সাধারণ মানুষ পাস কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করত।নাক সিটকাতো।কিন্তূ সেদিন আর বর্তমানের মধ্যে রাজবংশী সমাজের খনপালা সমস্ত রকমের দৈন্য দশা কাটিয়ে বৃহত্তর বুদ্ধি জিবি সমাজেও খনপালা আজ নিজস্ব স্বকীয়তায় সমাদৃত।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের দিলাল পুরের খন পালাকার তথা বিশিষ্ট খন শিল্পী গনেশ রবিদাস বলেন তাদের খনের দল শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই সমাদৃত নয় সারা রাজ্যে র সাথে খোদ কলকাতাতে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং হচ্ছে।জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ যোগীতায় বিভিন্ন স্থানে যাবার সুযোগ পাচ্ছি।কলকাতায় মাঝেমধ্যেই ডাক পেয়ে থাকি।বর্তমানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আমার দল পালা তৈরী করে সেই খনপালা মঞ্চস্থ করে থাকি।কলকতার বিভিন্ন মঞ্চে উত্তর দিনাজপুর জেলার খনপালা বর্তমানে একটা স্থান করে নিয়েছে।এই জেলার খনগান বা খনপালা কলকাতার সর্বত্রই উচ্চ প্রশংসিত। বর্তমান রাজ্য সরকার লোকশিল্পীদের যোগ্য সন্মান যেমন দিচ্ছে তেমনি সামান্য হলেও প্রতি মাসে মাসে ভাতা দেবার ও ব্যবস্থা করেছে।তাই রাজ্যের প্রতিটি জেলার সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার লুপ্তপ্রায় খনপালা বা খনগান নুতন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ও নুতন উদ্যমে লোকসংস্কৃতিকে নিজ পুত্র সম ভালোবেসে তাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার সবরকম প্রচেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});