কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত কচুরিপানা যুক্ত জলাশয় জঞ্জাল মুক্ত করতে পৌরসভার চেয়ারম্যান রেল দপ্তরকে চিঠি দিল
1 min read
তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর–উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনের ২নম্বর প্ল্যাটফর্মের পার্শবর্তী রেলের জমির পরিত্যক্ত জলাশয় দীর্ঘদিন ধরেই রোগ বাহিত মশার উৎপাদনের বিশেষ স্থান হিসেবে পরিচিত।শহরের মধ্যস্থলে রেল দপ্তর এই পরিত্যক্ত জলাশয়টিকে ডেঙ্গু মারন রোগের জীবানু তৈরীর কারখানা বানিয়ে রাখলেও রেল দপ্তরের কোন হেলদোল নেই।
কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যাচ্ছে রেল দপ্তর কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিজান ও রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা মিশনকে কোনভাবেই গুরুত্ব না দিয়ে কি ভাবে দিনের পর দিন বছরের পর বছর ধরে খোদ জনবহুল এলাকায় কোন সাহসে দূষিত জলের মৃত্যু ফাঁদ তৈরী করে রেখেছে?জেলা প্রশাসনকি রেল স্টেশনের এই পতঙ্গ বাহিত মশার আতুর ঘরটি দেখতে পায়না?কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি মহিলারা গিয়ে বাড়ী ঘরের আসে পাশে জল জমে আছে কিনা? দেখভাল করলেও যেখানে প্রতিনিয়ত পচা জলে মশক কুলের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র রেলের জমি হবার ফলে সেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সেখানে যেতে পারেনা।
আসামের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে যত ভাবনা ভাবা হয় অথচ কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন চত্তর থেকে মসককুলকে বিতাড়িত করবার জন্য বিষয়টি নিয়ে একমাত্ৰ ভাবতে দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান কার্তিক পালকে।রেল দপ্তরের কোন রকম হেলদোল না থাকায় অবশেষে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান রেল দপ্তরকে চিঠি দিয়ে মনে করিয়ে দিল কালিয়াগঞ্জ স্টেশনের রেলের পরিত্যক্ত কচুরিপানা যুক্ত জলাশয়টিকে স্বচ্ছ ভারতের স্বার্থে ও মারন রোগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে দীর্ঘ দিনের পরিত্যক্ত জলাশয়টিকে বন্ধ করেদিতে হবে শহরের মানুষের স্বার্থে।
কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশনের পরে থাকা এই কচুরিপানা যুক্ত জলাসয় কে স্বচ্ছ ভারত অভিযান ও নির্মল বাংলা অভিযানের স্বার্থে এই প্রয়োজনহীন অস্বাস্থ্যকর জলাশয়টিকে বুজিয়ে রেল স্টেশনের সৌন্দয্য বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেওয়া হোক বলে চেয়ারম্যান কার্তিক পাল জানান।চেয়ারম্যান কার্তিক পাল বলেন যেখানে ভারত সরকারের স্বচ্ছ ভারত ও রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা মিশনের কাজ চলছে সেখানে রেল স্টেশন চত্বরে রোগ বাহিত মশা তৈরী হবে আর আমরা তা চুপ করে বসে দেখবো এটা হতে পারেনা।চেয়ারম্যান বলেন সোমবার আমরা স্টেশন ম্যানেজারকে পৌর সভার পক্ষ থেকে চিঠি দিয়েছি।রেল দপ্তর কি ব্যাবস্থা গ্রহণ করছে তা আমাদের নজরে থাকছে বলে চেয়ারম্যান কার্তিক পাল জানান।যদিও রেল দপ্তর পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পালের চিঠির গুরুত্ব কতটা দিচ্ছে তা দেখার জন্য অপেক্ষা কালিয়াগঞ্জ বাসীকে করতেই হবে কিছুদিন।