আমার ছেলেকে বাঁচান……. বাবার আর্তনাদে এগিয়ে এলো মানবিক হৃদয় নিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌর পতি কার্তিক চন্দ্র পাল।
1 min readআমার ছেলেকে বাঁচান……. বাবার আর্তনাদে এগিয়ে এলো মানবিক হৃদয় নিয়ে কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌর পতি কার্তিক চন্দ্র পাল।
তনময় চক্রবর্তী। যার ছোট বেলা থেকেই একটা জেদ ছিল দুই চোখে ,যে পড়াশোনা শিখে আর পাঁচ জনের মত ভালো একটা চাকরি জোগাড় করে বাবা মায়ের কষ্ট দূর করবে সে ।আর তাই সংকল্প বদ্ধ হয়েছিল ছোট বেলা থেকে ।সেই লক্ষ্য নিয়েই যে অদম্য লড়াই চালিয়ে আসছিল একদম ছোটবেলা থেকে সেই লড়াই অবশেষে হার মানতে বাধ্য হল ছোট্ট একটি পোকার আক্রমনে ।
চোখে পোকার আক্রমণে সাড়ে তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সেই পোকার বিষক্রিয়া এতটাই তীব্র হয় যে তারপর দেখা দেয় জটিল রোগ।এখন দরকার প্রচুর টাকা ছেলের চিকিৎসার জন্য।কিন্তু বাবা এত টাকা জোগাড় করবেই বা কোথা থেকে ।সেই নিয়ে রাত দিন হিম সিম খাচ্ছে কারন একটাই পরিবারের প্রধান সামান্য একটি পানের দোকান এর মাধ্যমে কোন মতে জীবিকা নির্বাহ করে।
হ্যাঁ এমনই এক মানবিক চিত্র ধরা পরল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ছয় নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্র ঝন্টু দত্ত।আজ তার এমন টাই অবস্থা যে তার চিকিৎসার জন্য এখন প্রচুর টাকার দরকার ।কিভাবে এত টাকা যোগাড় করবেন সে নিয়ে প্রায় হিমশিম খাওয়ার জোগাড় হয়েছে সৌম্যজিৎ দত্তের বাবা ঝন্টু দত্তের।উল্লেখ্য আজ থেকে প্রায় চার মাস আগে সৌম্যজিৎ যখন সন্ধ্যা র দিকে প্রাইভেট পরে আসছিল সেই সময় নিয়তির করাল গ্রাসে হটাৎ রাস্তার মধ্যে একটি বিষাক্ত পোকা তার চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই পোকার আক্রমণে থমকে য়ায় সৌম্যজিৎ এর দুই চোখের স্বপ্ন ।
এরপর যে চোখ দিয়ে সৌম্যজিৎ স্বপ্ন দেখেছিল সেই চোখে পোকা পড়ায় আস্তে আস্তে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার পর জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে সে। এরপর কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল,রায়গঞ্জ হাসপাতাল,কলকাতা হয়ে ভেলুরে যায় চিকিৎসার জন্য।কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বাধ সাধছে আর্থিক প্রতিকূলতা।বর্তমানে ঝন্টু বাবুর পরিবারের এতটাই আর্থিক দুরবস্থা যে তার ছেলের চিকিৎসা কি ভাবে করবে সেটাও পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে করতে পারছেন না। ঝন্টু বাবু সকলের কাছে উদাত্ত কণ্ঠে আবেদন , আমার ছেলেকে বাঁচান।
আর্থিক সাহায্য করুন আমাকে। না হলে আমার স্নেহের সন্তান কে হয়তবা আর বাঁচাতে পারব না ।ছেলের চিকিৎসার জন্য লাগছে প্রচুর টাকা। সেই টাকা আমি জোগাড় করব কোথা থেকে ?এদিকে ঝন্টু বাবু উদাত্ত কণ্ঠে আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলেন কালিয়াগঞ্জ এর একদা উন্নয়নের কান্ডারী বলে পরিচিত সেই কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি খবর পাওয়া মাত্রই সেই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং যতটা পারলেন সাহায্য করলেন। পাশাপাশি তিনি বললেন তিনি সব সময় এই পরিবারের পাশে থাকবেন । পাশাপাশি তিনি কালিয়াগঞ্জ বাসীর কাছে আবেদন করলেন আপনারা সবাই নিজের সন্তান ভেবে এগিয়ে আসুন আমাদের সকলের প্রিয় সৌম্যজিৎকে বাঁচান। আপনাদের তিলে তিলে করার সাহায্য ই পারে একমাত্র পারে সৌম্যজিৎকে কে বাঁচাতে।কার্তিক বাবু বলেন ঝন্টু বাবুর ফোন নম্বর9002206942।এই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন। আর যে যেভাবে পারেন আর্থিক ভাবে সাহায্য করে সৌমজিৎ কে বাঁচিয়ে তুলুন।এদিন দেখা গেল কাত্তিক বাবুর সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৬ বিজেপির কাউন্সিলর ও ঝন্টু বাবুর বাড়িতে গিয়ে ঝন্টু বাবুকে আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার।