পুরসভা কাজ না করলে ব্যবস্থা বললেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম
1 min readপুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
চন্দননগর পুরনিগমের মেয়রকে সরিয়ে দিয়ে বোর্ড ভেঙে দেওয়ায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আরও কিছু পুরসভার বিরুদ্ধে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগ গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সব পুরসভাকে সতর্ক করতে পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পুরমন্ত্রী ইতিমধ্যে কয়েকজন চেয়ারম্যানকে সতর্ক করেছেন। পুনরায় তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে ঠিক করেছেন। এমনকী কলকাতা পুরসভার কাজকর্মের ব্যাপারেও সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভা টাকা খরচ করতে পারেনি বলে অর্থদপ্তরে টাকা ফেরত যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কলকাতা পুরসভাকে বিভিন্ন খাতে টাকা বরাদ্দ করেছে পুরদপ্তর। ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বরো এলাকায় জল সরবরাহের জন্য ১৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা ৩৫ কিমি দৈর্ঘ বিশিষ্ট পাইপলাইন বসানো হবে। আগের পাইপ পরিবর্তন করা হবে। ১০০ মিমি ডায়া এবং ১৫০ মিমি ডায়া ডি আই পাইপলাইন বসানো হবে। এর জন্য রাস্তা মেরামত করা হবে। ধাপা বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে জল সরবরাহ করা হবে। শুধু জল সরবরাহ করার জন্য নয়, বস্তি উন্নয়নের জন্য টাকা দিল পুরদপ্তর।
এদিকে, হুগলি জেলার শহরাঞ্চল বলে পরিচিত উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, চাঁপদানি, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর, ডানকুনি পুরসভা এলাকায় জলসরবরাহ প্রকল্পের অনুমোদন করল অর্থদপ্তর। শুধু পুর এলাকা নয়, নবগ্রাম, কানাইপুর, রিষড়া, রঘুনাথপুর, রাজ্যধরপুর, পিয়ারাপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও জল সরবরাহ করা হবে। এর জন্য ১৪৮ কোটি টাকা অনুমোদন করল রাজ্য অর্থদপ্তর। এই প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি হয়েছে। তা অনুমোদন করেছে নবান্ন। উত্তরপাড়ায় গঙ্গার ধারে তা তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে ভরসা না করেই রাজ্য সরকার জল সরবরাহ প্রকল্পের উপর জোর দিয়েছে। এই প্রকল্প হয়ে গেলে হুগলি জেলায় গঙ্গার ধারের পুরসভাগুলির জলসমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছেন পুর দপ্তরের অফিসাররা।