সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ডালখোলা পুরসভা নির্বাচনের জন্য
1 min readপ্রশাসন
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
ডালখোলার
মোট
১৬টি
ওয়ার্ডের
মধ্যে
২, ৭, ৯ এবং
১১
নম্বর
ওয়ার্ড
তফসিলি
প্রার্থীর
জন্য
সংরক্ষণ
করা
হয়েছে। এরমধ্যে ২ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের সংরক্ষিত আছে। ৩, ৬, ১২
এবং
১৫
নম্বর
ওয়ার্ড
সাধারণ
মহিলাদের
জন্য
সংরক্ষণের
অধীনে
এসেছে। বাকি আটটি ওয়ার্ড কোনও সংরক্ষণের আওতায় নেই। ওসব
ওয়ার্ড
থেকে
যেকেউ
দাঁড়াতে
পারবেন। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, ডালখোলা পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ড আছে। মঙ্গলবার
প্রাথমিক
খসড়া
তালিকা
প্রকাশ
হয়েছে। আগামী মাসে চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। এদিকে সংরক্ষণের
প্রাথমিক
খসড়া
তালিকা
প্রকাশ
হতেই
শাসকদল
তৃণমূল
কংগ্রেস
এবং
বিরোধীদলগুলি
ঘর
গোছতে
শুরু
করেছে। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে শাসকদল তৃণমূল প্রচারে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্যদিকে
অনুন্নয়নকে
ইস্যু
করতে
চাইছে
বিরোধীরা। কো
ন ওয়ার্ড থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে, গতবারের জেতা ওয়ার্ড থেকে বর্তমান কোন কাউন্সিলার দাঁড়াতে পারছেন সেসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের ডালখোলা
টাউন
সভাপতি
তনয়
দে
বলেন,
আগামী
মাসে
বোর্ডের
মেয়ার
শেষ
হচ্ছে। তাই আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। পুরনো
বুথ
কমিটিগুলি
ভেঙে
নতুন
কমিটি
গঠন
করা
হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুভাষ গোস্বামী বলেন, গত কয়েক বছরে পুরসভা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ
উন্নয়ন
দেখেই
আমাদের
পুনর্নির্বাচিত
করবেন। যেকোনও সময়ে নির্বাচন হলে আমরা প্রস্তুত আছি। কংগ্রেসের টাউন
সভাপতি
তথা
প্রদেশ
কংগ্রেস
সদস্য
জাভেদ
আলম
বলেন,
সংরক্ষণের
প্রাথমিক
খসড়া
তালিকা
বের
হওয়ার
আগে
থেকেই
আমাদের
প্রস্তুতি
চলছিল। গত পুরসভা ভোটে আমাদের দলের প্রতীক নিয়ে অধিকাংশ কাউন্সিলারই জয়ী হয়েছিলেন। পরে
তাঁরা
দলবদল
করেছেন। ফলে কয়েকটি ওয়ার্ডে আমাদের সংগঠন দুর্বল হয় যায়। এখন
আবার
অনেকেই
আমাদের
দলে
আসতে
চাইছেন। ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই আছেন। আমরা
এখন
সংগঠন
মজবুত
করার
কাজ
করছি। পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যা আমাদের ভোট প্রচারের ইস্যু হবে। বিজেপির
টাউন
সভাপতি
জগদীশচন্দ্র
কুণ্ডু
বলেন,
প্রতিটি
ওয়ার্ডে
আমরা
শক্তিশালীবুথ
কমিটি
তৈরি
করেছি। যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা, মাইনোরিটি মোর্চা সহ সমস্ত শাখাকে মজবুত করেছি। এলাকার
অনুন্নয়নকে
সামনে
রেখে
রণনীতি
স্থির
করা
হবে। সিপিএমের ডালখোলা এরিয়া কমিটির সদস্য সুজিত দে সরকার বলেন, পুরভোটের ঘণ্টা বেজেছে। আমরা
প্রস্তুতি
নিচ্ছি। পুরসভার বর্তমান বোর্ড এলাকার উন্নয়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের
কাছে
গিয়ে
আমরা
সেটাই
বোঝাব। এবছরের সেপ্টেম্বরে বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২০১৩’র নির্বাচনে
১৬টি
ওয়ার্ডের
মধ্যে
কংগ্রেস
পায়
১০টি। বাকি ছ’টির মধ্যে চারটি সিপিএম এবং দু’টি তৃণমূল পেয়েছিল। কংগ্রেস
পুরবোর্ড
গঠন
করলেও
পরবর্তীতে
কংগ্রেসের
টিকিটে
জয়ী
কাউন্সিলাররা
দলবদল
করেন। সিপিএমের এক কাউন্সিলারও তৃণমূলে যান। ফলে
পুরবোর্ড
শাসকদলের
দখল
যায়। বর্তমানে ১৩টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এবং তিনটি ওয়ার্ডে সিপিএমের কাউন্সিলার আছে।