উত্তর দিনাজপুর জেলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের মাছের পোনা দিচ্ছে মৎস্যদপ্তর
1 min readউত্তর দিনাজপুর জেলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের মাছের পোনা দিচ্ছে মৎস্যদপ্তর
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের মাছের পোনা দিচ্ছে মৎস্যদপ্তর। জেলার ন’টি ব্লকে ১৩০৮ জন উপভোক্তাকে মাছের পোনা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার ইসলামপুর ব্লকের ১০২ জন উপভোক্তাকে পোনা দেওয়া হয় ও কালিয়াগঞ্জ এ 100 জন উপভোক্তাকে পোনা দেওয়া হয় ।বর্ষার আগেই মাছের পোনা হাতে পেয়ে খুশি উপভোক্তারা।মৎস্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,কয়েক বছর আগে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। তাতে জেলায় ৩৬৭৫ জন উপভোক্তার নাম আছে। গত দুই তিন বছরে অনেকেই মাছের পোনা পেয়েছেন। এবার ১৩০৮ জনকে দেওয়া হচ্ছে।
গেয়ালপোখর-১, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার ও ইসলামপুর ব্লকে পোনা বিলি করা হয়ে গিয়েছে। বাকি চোপড়া, গোয়ালপোখর-২, করণদিঘি, রায়গঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের উপভোক্তদেরও কিছু দিনের মধ্যেই দেওয়া হবে। প্রত্যেক উপভোক্তাকে রুই, কাতল ও মৃগেল মিলে ১০০০ পোনা ও সঙ্গে ২০ কেজি চুন দেওয়া হচ্ছে। এর পরেও প্রায় ১১০০ উপভোক্তা বাকি থাকবেন।উত্তর দিনাজপুর জেলা মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক বলেন, ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে উপভোক্তাদের মাছের পোনা ও চুন দেওয়া হচ্ছে। গত বছর ৯১৯ জনকে দেওয়া হয়েছিল। এবার ১৩০৮ জনকে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি ব্লকের উপভোক্তাদের দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ১৩০৮ জনকে পোনা দেওয়ার পরেও যেসমস্ত উপভোক্তা বাকি থাকবে তাদের জন্য বরাদ্দ এলেই দেওয়া হবে।বাসিন্দারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য বহু কল্যাণকর প্রকল্প করেছেন। এর মধ্যে জল ধরো জল ভরো প্রকল্প অন্যতম।
উপভোক্তাদের মাছের পোনা দেওয়ার ফলে জেলায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই উৎপাদন বৃদ্ধি হলে দামও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে অনেক পুকুর খনন হয়েছে। গত দুই বছর করোনার জেরে ভিনরাজ্য থেকে অনেকেই কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর খনন করা হয়। তাতে মাছ চাষ হচ্ছে। এতদিন রুই, কাতল মাছের জন্য এই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা মাছের উপর নির্ভর করতে হতো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় পুকুরেই মাছ উৎপাদন হচ্ছে।কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। মাছের চাহিদা সারা বছরই একই থাকে। মাছ যেহেতু প্রোটিনের উৎস তাই সুস্বাস্থ্যের জন্যও মাছের চাহিদা আছে। গ্রামাঞ্চলে অনেকের মাছ চাষের আগ্রহ থাকলেও আর্থিক আবস্থা না থাকায় পুকুর খনন কিংবা মাছ চষ করতে পারছিলেন না। জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর খনন হচ্ছে। চাষের জন্য পোনা ও চুনও দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এদিকে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিপা সরকার জানান, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে কালিয়াগঞ্জ সাড়ে ৩৫০ জন বেনিফিশিয়ারি কে মাছের পোনা দেওয়া হবে।আগে দেওয়া হয়েছে ১২১ জন কে ।এখন দেওয়া হলো১০০ জন কে।বাকি টা কিছুদিনের মধ্যে দেওয়া হবে।তিনি বলেন প্রত্যেক বেনিফিশিয়ারি কে ১৫ কেজি করে মাছ দেওয়া হচ্ছে সঙ্গে ২০ কেজি করে চুন দেওয়া হচ্ছে।