সরকারের বর্ষপূর্তিতে বিরাট ঘোষণা SSC-র, সাত বছর বাদে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ!
1 min readসরকারের বর্ষপূর্তিতে বিরাট ঘোষণা SSC-র, সাত বছর বাদে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ!
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিক কালে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই অভিযোগ বড়সড় দুর্নীতির। হাই কোর্টেও নিত্যদিন এ নিয়ে চলছে মামলা মোকদ্দমা। এই পরিস্থিতিতে বড় ঘোষণা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তিতে রাজ্যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের কথা জানাল এসএসসি।সাত বছর বাদে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ। প্রধান শিক্ষক – প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল এসএসসি। কবে বিজ্ঞাপন বেরোব বিস্তারিত আকারে তা জানাল এসএসসি। তবে, প্রধান শিক্ষক – প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের পাশাপাশি নবম দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকাও নিয়োগ করা হবে।রাজ্যের বিপুলসংখ্যক স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক- প্রধান শিক্ষিকা।
এমনই রিপোর্ট খোদ স্কুল শিক্ষা দফতরের। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকাদের বহু শূন্যপদ রয়েছে। তার জেরেই কি স্কুলগুলিতে এত বিপুল সংখ্যক প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা? স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের থেকে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে কত সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সেই রিপোর্টের তথ্য পেয়েই তাজ্জব স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ৯৯৯০-এর বেশি স্কুলের মধ্যে প্রায় ২১৩০ সংখ্যক স্কুলে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ না হওয়ার জেরেই এত সংখ্যক শূন্য পদ বলে মনে করছে শিক্ষামহল। যদিও তা মানতে নারাজ স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর সামগ্রিক মনোভাব বদলানোর জন্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কত সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে, তার তালিকা পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে।সূত্রের খবর, এই প্রথম রোস্টার মেনে নিয়োগ হবে। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে নিয়মে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হত, সেই নিয়মের বদল করা হচ্ছে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ হবে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর জানা গিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন সামগ্রিকভাবে সংশোধনের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা
দফতরের কাছে।