তপন চক্রবর্তী–কালিয়াগঞ্জ--পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র,ছোট,মাঝারি উদ্দ্যোগ ও বস্ত্র দপ্তর,খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ,ইউনেস্কো ও বাংলা ডটকমের উদ্দ্যোগে বৃহষ্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি কমিউনিটি হলে তিনদিনের খন পালাগানের কর্মশালা।গত বৃহস্পতিবার এই কর্মশা
লার উদ্বোধন করেন কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস।
উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের জেলা আধিকারিক সান্তনু চক্রবর্তী,বিশিষ্ট নাট্যকার বিপ্লানু মিত্র ও বাংলা নাটক ডট কমের প্রতিনিধি নির্মাল্ রায়। কোলকাতা থেকে আগত বিশিষ্ট লোক নাট্যকার বিপ্লানু বাবু এক সাক্ষাৎকারে জানান ইতিপূর্বে এই রাজ্যে গড়ে উঠেছে ১০টি রুরাল এন্ড কালচারাল ক্র্যাফট হাব হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যার ফলে উপকৃত হয়েছে তিন হাজার হস্ত শিল্পী।যার মধ্যে কুশমন্ডির মহিষ বাথনের কাঠের মুখোশ অন্যতম।এই প্রকল্পের সাফল্যে পরবর্তীতে প্রকল্পটির গুরুত্ব আরো অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে।
তৈরী হচ্ছে আরও ১৫টি জেলায় রুরাল ক্র্যাফট এন্ড কালচারাল হাব।এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আরও ১২ হাজার গ্রামীন লোক শিল্পী এবং হস্ত শিল্পী।তিনি বলেন গ্রাম,শিল্পী এবং শিল্প এই তিন বিষয়কে একসাথে পুষ্টি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি অধিকারিক সান্তনু চক্রবর্তী বলেন এই খনগনের কর্মশালায় জেলার মোট ১০টি খন দলকে নিয়েই অভিনবভাবে শুরু হয়েছে খন নাটা প্রশিক্ষণ।
খননাট্য পালার প্রশিক্ষক তথা সাংবাদিক সৌরভ রায় বলেন গ্রাম্য খন নাট্য পালাকে জনসাধারণের কাছে আরোউন্নতমানের মনগ্রাহী কি ভাবে করা যায় সে ব্যাপারে ঘষামাজার কাজ দৈনন্দিন করা হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খননাট্য পালার রচনাশৈলীর সাথে সাথে খন গানের নিজস্বতা বজায় রেখে গানের সুরকে আরও উন্নত করা যায় সেই সব চিন্তা ভাবনা মাথায় রেখেই এই কর্ম শালার আয়োজন করা হয়েছে।খন পালাগানের অপর প্রশিক্ষক খুশি সরকার বলেন খন গান সাবেক দুই দিনাজপুরের নিজস্ব লোকসম্পদ।
দিনাজপুর জেলার নিজস্বএই সম্পদের গুনগত মান উন্নত করার জন্যই আজকের এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা নাটক ডটকমের প্রতিনিধি নির্মাল্য রায় বলেন দিনাজপুরের হারিয়ে যাওয়া লোক সংস্কৃতি খন নাট্য পালাকে আবার জাগিয়ে তুলে রাজ্য তথা দেশের লোক সংস্কৃতির মান চিত্রে জায়গা পাবার ক্ষেত্রে বাংলা ডট কম কাজ করে চলেছে।আমরা সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});