January 11, 2025

করোনা পরিস্থিতির কারণে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের আনারস কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ কমেছে

1 min read

 

করোনা পরিস্থিতির কারণে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের আনারস কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ কমেছে

রাকেশ রায় ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীদের আনারস কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ কমেছে করোনা পরিস্থিতির কারণে । তাই তুলনামূলকভাবে ভিন রাজ্যে আনারস কম যাচ্ছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গে আনারসের পাইকারি বাজার মন্দা। এতে চাষের খরচ উঠলেও চাষিরা খুব বেশি লাভ করতে পারছেন না। চাষিদের দাবি, এই বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপের প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ইসলামপুর মহকুমায় আনারস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের জোরালো দাবিও উঠেছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ও দার্জিলিং জেলার সমতলের বিধাননগর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আনারস চাষ হয়। এখানকার উৎপাদিত আনারস দিল্লি, বারাণসী, বিহার সহ বিভিন্ন রাজ্যে যায়। কিন্তু বর্তমানে দেশে কোভিড পরিস্থিতি চলছে। বাজার খোলা ও বন্ধের জন্যও নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে আনারস বিক্রি করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যায়।

অনেক মানুষ আর্থিক সমস্যায় আছে। এর ফলে ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা আনারস কিনছেন না বললেই চলে। একটি আনারস পিছু জমির ভাড়া বাবদ দুই টাকা, চারার দাম তিন টাকা, শ্রমিক তিন টাকা, সার, জল, কীটনাশক মিলিয়ে তিন টাকা, আনারস জমি থেকে সংগ্রহ করতে এক টাকা, জমি থেকে বাজারে আনার খরচ দু’টাকা এবং অন্যান্য খরচ এক টাকা। সবমিলিয়ে একটি আনারস উৎপাদনে ১৫ টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে ৪০০০ আনারস চাষ করা যায়। এতে মোট ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। জমিতে ছোট, বড় বিভিন্ন আকারের ফলন হয়। দেড় কেজি আকারের আনারস পাইকারি বিক্রি ১৭ টাকা। অর্থাৎ খরচের চেয়ে মাত্র দু’টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর করোনার জেরে লকডাউন থাকায় যানবাহন বন্ধ ছিল। ফলে তেমন আনারস ভিন রাজ্যে যায়নি। স্থানীয় রাজারের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক বেশি ছিল। তাই দাম তলানিতে ঠেকেছিল। তাই গতবার চাষিদের লোকসান হয়েছে। তাঁরা এবার আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে এবছর ভালো লাভ হবে। তাঁদের দাবি, পাইকারি বাজারে যে আনারসের দাম ১৭ টাকা তা স্বাভাবিক সময়ে অন্তত ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।উত্তরবঙ্গ আনারস চাষি সংগঠনের সম্পাদক অরুণ মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে হিসেব করলে মনে হবে, একটি আনারসে দু’টাকা লাভ হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। একটি গাছে একটিই আনারস হয়। কোনও গাছে রোগপোকার আক্রমণ হলে ফসল নষ্ট হয়। অর্থাৎ সবকটি গাছের আনারস বিক্রি হবে এমন নাও হতে পাবে।

তাই এবার শুধু চাষের খরচই উঠছে। আমাদের অনুমান, এবছর ছয় লক্ষ মেট্রিক টন আনারস উৎপাদন হবে। ২০ হাজার হেষ্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। গত বছর চাষিদের লোকসান হয়েছিল। এবার চাষের খরচটাই উঠছে।ফলে সরকারি উদ্যোগে প্রক্রিায়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি আমাদের সংগঠন থেকে অনেক আগেই করা হয়েছে। প্রক্রিয়াকরণ শিল্প হলে এই সময় বিক্রি না করে তা দিয়ে অন্যান্য জিনিস তৈরি করা যেত। এতে চাষিরা লাভবান হতো। উদ্যানপালন দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলা আধিকারিক সুফলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, গত বছর লকডাউনে সমস্যা হয়েছিল। উদ্যানপালন দপ্তর থেকে বিধাননগরে আনারসের প্রক্রিয়াকরণের একটি ইউনিট তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *