কালিয়াগঞ্জ শহরের বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠগুলি সন্ধ্যার পর ছাত্রদের নেশার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র,আতঙ্কিত অভিভাবকগণ
1 min readকালিয়াগঞ্জ শহরের বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠগুলি সন্ধ্যার পর ছাত্রদের নেশার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র,আতঙ্কিত অভিভাবকগণ
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ১৪জুলাই: বিগত দের বছরের উপর ধরে নেই পড়াশুনা,যেতে হচ্ছেনা স্কুল কলেজে।তাই বিদ্যালয়ে বা কলেজে যেতে না হলেও উঠতি বয়সের ছেলেরা সন্ধ্যার পর প্রতিদিন বিদ্যালয়ের মাঠ ও কলেজের মাঠে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। এই ঘটনা কালিয়াগঞ্জ শহরে অল্পবয়সী যুবক থেকে স্কুল কলেজের ছাত্রদের কি ভাবে সর্বনাশ হতে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।কালিয়াগঞ্জে নারকোটিক সেলের একটি অফিস থাকলেও এই এলাকার মানুষদের কোন কাজে লাগেনা বলে কালিয়াগঞ্জ বাসী মনে করে।জানা যায় বিনা প্রেসক্রিপশনেও ঔষুধের দোকান থেকে চাহিদা মত ঔষুদের যোগান পাওয়া যাচ্ছে সেই অভিযোগও উঠেছে কালিয়াগঞ্জের ওষুধের কিছু দোকান সম্পর্কে।জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে এই সমস্ত ব্যাপারগুলো নার কোটিক দপ্তর সাধারণত দেখভাল করে থাকে। প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র তারা কি আদৌ দেখভাল করে?উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সাংবাদিকদের জানান অল্প বয়সী বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্ররা যাতে কোন ভাবেই নেশার খপ্পরে না পড়তে পারে তার জন্য বিভিন্ন থানায় থানায় ব্যপক ব্যবস্থা যাতে গ্রহণ করা যায় সেদিকে করা নজর রাখার জন্য বিভিন্ন থানার আইসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তূ প্রতিটি থানায় থানায় করা ব্যবস্থা যদি নেওয়া হযে থাকে তাহলে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর
কালিয়াগঞ্জ শহরের পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ,কালিয়াগঞ্জ কলেজের মাঠ,সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কি ভাবে নেশার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে? কালিয়াগঞ্জ শহরের ছাত্রদের অভিভাবকদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ছেলেদের ভবিষৎ কি হতে পারে তা চিন্তা করলে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। কালিয়াগঞ্জ শহরে কালিয়াগঞ্জ থানা ছাড়াও একটি নারকোটিক দপ্তরের অফিস আছে।তাদের একমাত্র কাজ মাঝে মধ্যেই মদের ঠেকে গিয়ে হানা দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই।কালিয়াগঞ্জ শহরের অভিভাবকদের বক্তব্য কালিয়াগঞ্জ থানা এবং আবগারি দপ্তর যদি প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের মাঠে গিয়ে অতর্কিতে হানা দিত তাহলে অনেকটাই থানার ভয়ে কমতে পারতো।কিন্তূ সে সব দিকে তাদের কোন রকম হেলদোল নেই বলেই কালিয়াগঞ্জ শহরের অভিভাবকগণ মনে করে।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অল্প বয়সী যুবকদের মধ্যে এর প্রচলন বেশী থাকলেও অনেক চাকুরী জীবিরাও এর প্রকোপে পরে পরিবারে চরম অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে প্রতিনিয়ত।
এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব মোর্চার সভাপতি গৌতম বিশ্বাসকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমাদের কাছেও এই সমস্ত ঘটনার খবর আসছে।কালিয়াগঞ্জে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে ড্রাগের নেশার প্রকোপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।যুব মোর্চার জেলা নেতা গৌতম বিশ্বাস বলেন তাদের যুব মোর্চার পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই ছাত্রদের সমূহ বিপদের মুখ থেকে কি ভাবে দূরে সরানো যায় আমরা তার জন্য বিভিন্ন ভাবে এর প্রতিবাদে নামবো।কালিয়াগঞ্জ থানা সহ আবগারি দপ্তরের কর্মীরা যাতে নিয়মিতভাবে নজরদারি করতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে গৌতম বিশ্বাস জানান।তিনি বলেন এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ বাসীকে সচেতন করতে তারা দ্রুততার সাথে পথে নামবেন বলে জানানস।কালিয়াগঞ্জ ব্লক বণগ্রেস সভাপতি সুজিৎ দত্ত ও শহর বণগ্রেস সভাপতি তুলসী জয়সোয়াল বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরের ছাত্রদের মধ্যে ড্রাগের নেশা যে ভাবে আস্ট্রেপৃষ্ঠে ধরেছে তা শুনে আতঙ্কিত হতে হয়।অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ বলেই তারা মনে করেন। কালিয়াগঞ্জ শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন তাদের বাড়ির ছেলেরা বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গদোষে ড্রাগের নেশায় আসক্ত হচ্ছে তা বুঝতে পারছি।কিন্তূ আমাদের ছেলের বিরুদ্ধে ভয়ে কিছু বলতে পারছিনা।হটাৎ করে যদি কিছু করে ফেলে এই ভয়ে।আমরা প্রসাশনের কাছে দাবি করছি আপনারা যদি একটু নজর দেন বা তাদের সম্পর্কে ভয় ভীতি দেখান তাহলে হয়তো তারা এই পথ থেকে সরে আসতে পারে।না হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন।কালিয়াগঞ্জ থানার আই সি দেবাঞ্জন দাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ শহরের কোন অভিভাবকগণ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ কোনদিন করেনি।তবুও কালিয়াগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের মাঠে সন্ধ্যার পর অবশ্যই আমাদের থানা থেকে অতর্কিতে যাবে।যাতে করে তাদের মনে একটা ভয় আসতে পারে। আই সি দিপাঞ্জান দাস বলেন আমরা নিয়মিতভাবে দেখবো যাতে উঠতি বয়সের ছাত্ররা কোন ভাবেই সন্ধ্যার পর কোন মাঠে আড্ডায় বসতে না পারে।সএ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি আমাদের থানার পক্ষ থেকে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।