January 11, 2025

কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দিরের রথে দড়িতে টান পড়লো না। মন খারাপ ভক্তকুলের। জগন্নাথ দেবের কাছে কালিয়াগঞ্জ বাসীর মঙ্গল কামনা করলেন প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দিরের রথে দড়িতে টান পড়লো না। মন খারাপ ভক্তকুলের। জগন্নাথ দেবের কাছে কালিয়াগঞ্জ বাসীর মঙ্গল কামনা করলেন প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল

তনময় চক্রবর্তী গতবছরের পুনরাবৃত্তি না হয়ে এবার হয়তো প্রভু জগন্নাথদেব রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন এমনটাই ভেবেছিলেন অনেকেই। হাজার হাজার ভক্ত রথের রশিতে টানে দিয়ে প্রভুকে নিয়ে যাবেন মাসিরবাড়ি । আবার এক সপ্তাহ পর ভক্তদের রশির টানে তিনি ফিরবেন বাড়ি। কিন্তু না  এবছরও আর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাওয়া হবে না জগন্নাথদেবের। এর মূল কারণ ভিলেন করোনা।

যেভাবে করোনার ভয়াল থাবা মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন সর্বস্বান্ত করেছে তাতে ইতিমধ্যে গত বছরের পর এ বছরও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ এর নাটমন্দির এর রথযাত্রা।আর তাই আজ রথযাত্রায় মন খারাপ রথপ্রেমী সাধারণ মানুষের। প্রতিবছর রথের দিন এই রথ টানতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমাতেন। ভিড় জমতো রথের মেলাতেও।মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দির প্রাঙ্গণে কয়েকশো দোকান নিয়ে গমগম করতো প্রায় দশ বারো দিন ধরে এই রথের মেলা।প্রচুর মানুষ এই মেলাতে আসত জিলিপি ও নটকা ফল খেতে ।কিন্তু সবকিছুই কেমন যেন ফিকে হয়ে এসেছে। গতবছরও করোনার কারণে বন্ধ ছিল রথযাত্রা। যার পুনরাবৃত্তি এবছরও, গড়বেনা রথের চাকা। তবে মানা হবে সমস্ত প্রাচীন রীতিনীতি।

 

কিন্তু রথ টানা না হওয়ার কারনে কেমন যেন মন খারাপ ভক্তদের। “সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে রথ টানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তবে আজ পালকি চড়েই জগন্নাথদেব গেলেন মাসিরবাড়ি। যেখানেও মেনে চলা হলো সামাজিক দূরত্ব।আজ সকালে দেখা গেল আর পাঁচ জন ভক্তবৃন্দের মতন করেই জগন্নাথ দেব কে মাথায় তুলে নিয়ে পুজো দিলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। প্রতি বছরই তিনি এই দিনটিতে ভক্তিভরে জগন্নাথ দেবকে মাথায় তুলে নিয়ে প্রনাম করার পাশা পাশি কলা বাতাসা তুলে দেন রথের চূড়া তে ।কিন্তু এবার কার্তিক বাবু রথের চূড়ায় কলা বাতাসা দিতে না পারলেও মন্দিরে কিন্তু তিনি কলা  বাতাসা দিয়ে প্রণাম করলেন আর কালিয়াগঞ্জ বাসির জন্য মঙ্গল কামনা করলেন জগন্নাথ দেবের কাছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *