মহকুমা শাসকের নির্দেশ থাকা স্বত্বেও চান্দলে প্রতিবন্ধী দের প্রশিক্ষণের জমি দখল মুক্ত না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রতিবন্ধীদের থানা ঘেরাও
1 min readমহকুমা শাসকের নির্দেশ থাকা স্বত্বেও চান্দলে প্রতিবন্ধী দের প্রশিক্ষণের জমি দখল মুক্ত না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রতিবন্ধীদের থানা ঘেরাও
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৩,জুন: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চান্দলে অবস্থিত প্রতিবন্ধী দের প্রশিক্ষণের জমি দখলমুক্ত করবার জন্য এক বছর আগে মহকুমা সাশক নির্দেশ দিলেও ব্লক প্রসাশন তা কার্যকর না করায় ক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী সম্মিলনী সমিতির কয়েকশো সদস্যরা।বুধবার এক। সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী সমিতিরসহ-সম্পাদক উত্তম গুহ বলেন আজ তাদের প্রতিবন্ধী সমিতির পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারাকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি প্রতিবন্ধীদের জমি দখলমুক্ত না করা হয় তাহলে আগামী ৮ ই জুলাই সমগ্র উত্তরবঙ্গের থানা ও ব্লক অফিস ঘেরাও করা হবে।
যার দায়িত্ব প্রসশনকেই নিতে হবে বলে উত্তম গুহ জানান।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী সমিতির সহ-সম্পাদক উত্তম গুহ বলেন তাদের প্রতিবন্ধী সমিতি ২০১১সালের মে মাসে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাইবোনদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারের কাছে জমির আবেদন করলে সরকার তাদের প্রতিবন্ধী সমিতির নামে ২-৩৩ একর জমি লিজ হিসেবে দেয়।সেই জমিতে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের জন্য রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহ সেলিম ১২লক্ষ টাকা দেয় প্রতিবন্ধী সমিতিকে।সেই অর্থ দিয়ে প্রতিবন্ধীদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিল্ডিং তৈরি করা হয়।এরপর দুই বছর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চললেও এলাকার কতিপয় মানুষদের অত্যাচার তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রতিবন্ধী সমিতি।এরপর চলে এই সমিতির জমি দখল পরিকল্পিতভাবে।উত্তম গুহ বলেন সরকারের ভেস্ট জমি চান্দলে এক শতক জমি পঁচিশ হাজার টাকা দরে অবৈধ ভাবে বিক্রি করে এলাকার সাশক দলের নেতারা প্রচুর পয়সা করছে বলে উত্তম বাবু অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্যকে তাদের সম্পর্কে ভেস্ট জমি বিক্রি করবার যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে নিতাই বৈশ্য বলেন উত্তম গুহ যে সমস্ত অভিযোগ করেছে তার কোন ভিত্তি নেই।ভেস্ট জমি কোন ভাবেই কেও বিক্রি করতে পারেনা এটা উত্তম বাবুর জানা উচিৎ।তাছাড়া চান্দলে প্রতিবন্ধীদের কোন জমি কেও দখল করেনি।উত্তম বাবুর যদি প্রতিবন্ধীদের জন্য যদি।কিছু করার ইচ্ছা থাকতো তাহলে যতখানি জমি তাদের দেওয়া হয়েছে সেই জমিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক কিছু করা যেত।উনি এত বড় সুযোগ পেয়েও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন কাজ করতে পারেনি বলে নিতাই বাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেন।