January 11, 2025

কালিয়াগঞ্জের বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায় একদিনের মধ্যে ফতেপুরের নিঃস্ব গৃহহীন বৃদ্ধ দম্পতির গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছে থাকলে সবই হয়

1 min read

কালিয়াগঞ্জের বিজেপির বিধায়ক সৌমেন রায় একদিনের মধ্যে ফতেপুরের নিঃস্ব গৃহহীন বৃদ্ধ দম্পতির গৃহ নির্মাণ করে দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছে থাকলে সবই হয়

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২জুন: নিজের ঘর ছিল তবে সেটি শতছিন্ন দুটি ত্রিপাল দিয়ে ঢাকা একটি আচ্ছাদন মাত্র।অজস্র ফুটো দিয়ে অঝড়ে বৃষ্টির মধ্যেই অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ঘর বেঁধে ছিল।স্বপ্ন ছিল সরকার থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার একটি ঘর পেলে অন্তত পৃথিবীতে এসে একটু ছাদের।তলায় রাত কাটাতে পারতো।কিন্তু সেগুড়ে বালি।দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চার নম্বর বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানকে অনেকবার ভাণ্ডারা বর্মন মাল তি বর্মন তাদের ঘরের অবস্থা বার বার জানালেও এলাকার অবস্থাশালী

ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দিলেও তাদের কোন ব্যবস্থা করে দেয়নি বলে ক্ষুব্ধ। অবশেষে ফতেপুরের বেশ কিছু ব্যক্তিরা ভাণ্ডারা ও মাল তি বর্মনের দুর্দশার কথা কালিয়াগঞ্জের বিজেপির নব নির্বাচিত বিধায়ক সৌমেন রায়ের কানে এই খবর পৌঁছে দিলে বিধায়ক সৌমেন রায় গতকাল মঙ্গলবার বিজেপির সমর্থকদের নিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙ্গা গ্রাম।পঞ্চায়েতের উত্তর ফতেপুর গ্রামের ভাণ্ডারা ও মালতি বর্মন দম্পতির বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়ে অবাক হয়ে যান।সৌমেন রায় তাদের ঘর দেখে নিজেই লজ্জিত হয়ে পড়েন।

 

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরগুলি তাহলে কারা পাচ্ছে?বোচা ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এমন মানুষদের ঘরের ব্যবস্থা না করে শুধু মাত্র বে-আইনি ভাবে যাদের ঘর পাবার কথা নয় তাদেরকে ঘর পাইয়ে দিয়ে সেখানে রাজনীতি ।।।করে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় বৃদ্ধ দম্পতিদের বাড়িতে দাঁড়িয়ে থেকে সবার সমনে তাদের বলেন তোমাদের গ্রামের।প্রধান ঘর না দিলেও কালকের মধ্যে তোমাদের ঘর আমি করে দেব।সাথে সাথে মিস্ত্রির ব্যবস্থ্যা,টিনের ব্যবস্থা কাঠের খুঁটির ব্যবস্থা বিকেলের মধ্যে করে ফেলেন।বুধবার তিনি সেই বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধ দম্পতিদের নুতন।ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বলেন তোমাদের ছেলে নেই কে বলেছে?আমিইতো তোমাদের ছেলে।

সৌমেন রায়ের দেওয়া ঘর পেয়ে ভাণ্ডারা বর্মন এবং মালতী বর্মন বলেন হামার সৌমেন বেটা না আসিলে আমরা কোনদিন ঘরের দেখা পেতাম না।কালিয়াগঞ্জের সৌমেন বিধায়ক আমাদের কাছে ভগবান হয়ে আসিল।বেটা তুই বাঁচিয়া থাক বাপ বলে বিধায়ক সৌমেন রায়কে আশীর্বাদ করেন।ফতেপুরের গ্রাম বাসীরা দেখে অবাক হয়ে যায়।একদিনের মধ্যে ঘর করে দেবার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল

সেই প্রতিশ্রুতিমত বিধায়ক কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছে।বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন তিনি দেখছেন এই ধরনের কতজন দুস্থ্য মানুষদের বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘর দেয়নি তার হিসাব নেবেন।তারপর গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রয়োজনে বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও করতে তিনি পিছপা হবেন না।এই ঘটনায় ফতেপুরের গ্রাম বাসীদের মধ্যে নবনির্বাচিত বিধায়ক সৌমেন রায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি করতে পেরেছে বলে কালিয়াগঞ্জের মানুষ মনে করছে।তিনি শুধু ঘর দিয়েই চুপ করে বসে নেই।কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামের বহু কোভিড আক্রান্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসছেন বর্তমানেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *