January 11, 2025

টাকা দেবার তিন বছরেও কালিয়াগঞ্জে মেগা কার্পেট ক্লাস্টার বৃহদাকার শিল্প স্থাপনের জন্য জমি কেনা হলোনা, মেগা কার্পেটের কাজ বিষ বাও জলে-

1 min read

টাকা দেবার তিন বছরেও কালিয়াগঞ্জে মেগা কার্পেট ক্লাস্টার বৃহদাকার শিল্প স্থাপনের জন্য জমি কেনা হলোনা, মেগা কার্পেটের কাজ বিষ বাও জলে-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৮মে: শিল্পবিহীন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে শিল্প স্থাপনের আশার আলো দেখা গেলেও তা জেলা প্রশাসনের গড়িমসির কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকে মালগাঁও-কুনোর মেগা কার্পেট শিল্প স্থাপন করবার জন্য রাজ্য সরকার দীর্ঘ তিন তিনটি বছর আগে এই শিল্প স্থাপনের জন্য দের একর জমি ক্রয় করবার কারনে ৫৪ লক্ষ টাকা দিলেও নানান গড়িমসির কারণে সেই জমি আজও ক্রয় না করায় মালগা-কুনোর মেগা ক্লাস্টার শিল্প স্থাপন বর্তমানে বিশ বাও জলে বলে জানা যায়।জানা যায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও ঐতিহ্যবাহী কার্পেট শিল্পের জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলায় দীর্ঘ দিন ধরেই এই এলাকা বিখ্যাত

।সেই কারণেই কার্পেট শিল্পকে আরো অত্যাধুনিক কি ভাবে করে এই শিল্পের মাধ্যমে এলাকার আর্থিক বিকাশের সাথে কর্মসংস্থান বাড়ানো যায় সে দিকে লক্ষ রেখেই এই মেগা কার্পেট শিল্প স্থাপনের সিধান্ত নেওয়া হয়।কিন্তু এত বড় একটি সুযোগ হাতে পাবার পরেও উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোন রকম আগ্রহ আজ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত হ্যান্ডলুম আধিকারিক প্রদীপ দাশগুপ্তকে শনিবার জিজ্ঞাসা করা হলে

তিনি বলেন এই ধরনের একটি শিল্প কালিয়াগঞ্জে হলে সেখানে প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকরা কাজ পাবে বলে তিনি মনে করেন।তাই সবার সহযোগিতায় এই ধরনের একটি শিল্প যাতে হতে পারে টসর জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ বলেই তিনি মনে করেন।তিনি বলেন ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার মেগা ক্লাস্টার শিল্প স্থাপনের জন্য ৫৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে প্রয়োজনীয় জমি কেনার জন্য।

কিন্তু এখনো জমি কেন হয়নি।কি কারনে জমি এখনো কেনা হয়নি তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।কারন উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনা ল্যান্ড পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান।তিনিই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।তবে বেশ কয়েকবার জমি পছন্দের জন্য কয়েকটা জমি দেখাও হয়েছে।তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন কালিয়াগঞ্জের মালগাঁওয়ে যে কার্পেট ক্লাস্টার চলছে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত মানের কার্পেট তৈরি করছে মালগাঁয়ের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিলারা।কিন্তু নুতন করে যে অত্যাধুনিক বৃহদাকার মেগা কার্পেট ক্লাস্টার শিল্প স্থাপন করা হবে সেখানে একটি কার্পেট শিল্প স্থাপন করতে গেলে যে যে কাঁচা মালের প্রয়োজন হবে সেই সব কাঁচা মালগুলি সেখানেই উৎপাদন করা হবে।কার্পেটের কাঁচা মালের জন্য বেনারসে যেতে হবেনা।সেই কারনেই রাজ্য সরকারের হ্যান্ডলুম দপ্তরের উদ্দ্যোগে

এই মেগা কার্পেট ক্লাস্টার শিল্পের কাজ শুরু হবার কথা।হ্যান্ডলুম আধিকারিক প্রদীপ দাশগুপ্ত বলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আট নম্বর ও দশ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত মিলে এই মেগা কার্পেট ক্লাস্টারের জন্য একটি সমবায় সমিতি ইতিমধ্যেই গড়া হয়েছে।যার নাম মালগাঁও- কুনোর মেগা কার্পেট ক্লাস্টার কো-অপারেটিভ সোসাইটি। হ্যান্ডলুম আধিকারিক প্রদীপ দাশগুপ্ত জানান বেশ কয়েকটি জমি তারা দেখেছেন।কিন্তু এখনো ক্রয় করা হয়নি। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মসলগাঁও ও কুনরের বাসিন্দাদের বক্তব্য এমন কি ঘটনা ঘটলো যে মাত্র দের একর জমি ক্রয় করতে তিন বছর সময় পার হয়ে গেল? কেনই বা জেলা প্রশাসন জমি ক্রয়ের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে না?এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনার সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকারকে মেগা কার্পেট শিল্প স্থ্যাপনের ব্যাপারে জমি ক্রয় করতে এত দেরি হচ্ছে কেন প্রশ্ন করলে দীপা সরকার বলেন জমি কয়েকটি দেখা হলেও এখনো কেনা হয়নি।

তবে এখন আর দেরি না করে দ্রুত জমি ক্রয় করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শহর মন্ডল সভাপতি ভবানী চরণ সিংহ বলেন এই সরকার শিল্প করবে এটা ভাবতেও অবাক লাগছে।তবে জমি ক্রয়ের জন্য

তিন বছর আগে টাকা এলেও জমি কেনা হয়না।এর থেকেই বোঝা যায় এই সরকার শিল্প গড়তে কতটা আগ্রহী।তবে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় মালগাঁও কার্পেট শিল্পের কর্নধার তথা তৃণমূলের নেতা আবু তাহেরের

ইচ্ছা তার মালগাঁওতেই এই মেগা কার্পেটের অত্যাধুনিক শিল্পটি হোক।কিন্তূ অন্যদের বক্তব্য মালগাঁওয়ে যেহেতু একটা কার্পেট শিল্পের কাজ চলছে তাই এটি মোস্তাফানগর অঞ্চলের কোন একজায়গায় হোক।এই দ্বন্দ্বের কারণেই জমি কেনার ব্যাপারটি বন্ধ হয়ে আছে বলে জানা যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *