January 12, 2025

রাজনৈতিক চক্রান্তের বলি হলো করোনা আবহের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ৩১ জন মহিলা ও পুরুষ দৈনিক শ্রমিক-

1 min read

রাজনৈতিক চক্রান্তের বলি হলো করোনা আবহের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ৩১ জন মহিলা ও পুরুষ দৈনিক শ্রমিক-

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ৩১জন ডেইলি ওয়েজের মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের হটাৎ করে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ায় কর্মীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ও সমস্যায়।এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নির্বাহী আধিকারিক আশুতোষ বিশ্বাস এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বিগত বোর্ডের আমলে ৩১জন কর্মীকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিনোদন পার্ক,বিভিন্ন ভবন ও শ্মশানে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে।গত কাল সোমবার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বর্তমান প্রসাশক মন্ডলীর বৈঠকে ৩১ জন কর্মীকে বর্তমানে প্রয়োজন নেই বলেই তাদেরকে সরিয়ে দেবার সিধান্ত গ্রহণ করা হয়।

যদিও বলা হয়েছে যখন প্রয়োজন হবে তখন আবার তাদেরকেই নেওয়া হবে বলে জানান।জানা যায় বর্তমানে করোনার সময় এই ভাবে ৩১জন দুস্থ্য কর্মীদের ছাঁটাই করার ফলে প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়েছে এই ৩১ জন কর্মী।যাদের মধ্যে প্রায় ১৬ জন মহিলা কর্মীও আছেন।জানা যায় এই ৩১জন কর্মীকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্তিক পালের আমলে নিয়োগ করা হয়েছিল। কালিয়াগঞ্জ শহরের অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কাজ করলেও হটাৎ করে ভোটের ফলাফল বের হতেই বিজেপি প্রাথী তৃণমূল প্রার্থী তপন দেবসিংহকে হাড়িয়ে দেবার পরের দিনই এই ঘটনা ঘটলো কেন সর্বত্রই প্রশ্ন উঠেছে।যেহেতু কার্তিক পাল এদের নিয়োগ করেছিল সেই কারণেই কি এদেরকে সরিয়ে দেওয়া হল?যেহেতু কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বর্তমানে বিজেপি দলে যোগ দিযে বিজেপির প্রার্থী সৌমেন রায়কে বিপুল ভোটে জিতিয়েছেন তার কোপেই কি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ৩১ জন দুস্থ্য কর্মীকে ভাতে মারার সিধান্ত নিল কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল পরিচালিত পৌর সভা?এ ব্যাপারে বার বার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক শচীন্দ্র নাথ সিংহের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌরপিতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা কার্তিক পালকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তিনি শুনেছেন ৩১জন দৈনিক পৌর শ্রমিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির কারনে গরিব মানুষদের ভাতে মারা কোনভাবেই সঠিক কাজ নয়।এই গরীব মানুষগুলোতো কোন অন্যায় করেনি। তারা এই করোনা আবহের মধ্যে প্রতিদিন দুটো পয়সা রোজগার করে পরিবার পরিজনদের নিয়ে পেটের ভাতটা জোগাড় করতে পারতো।সেটা থেকে তারা বঞ্চিত হল নাকি?

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *